ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করে কী বার্তা দিচ্ছে হিজবুল্লাহ
অনলাইন ডেস্ক

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী দখলদার ইসরায়েলের পাঁচটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন বিষয়ে হানি আল-দালি নামে একজন বিশেষজ্ঞ স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।

আল মায়েদিন টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের মাত্রা বাড়িয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের সরকার ও সামরিক বাহিনীর জন্য এর রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা দিল হিজবুল্লাহ।

হানি আল-দালি বলেন, সামরিক এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মুখে হিজবুল্লাহ নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে মনে করেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিদ্যমান এ পরিস্থিতির মাধ্যমে এটা বোঝা যাচ্ছে যে ড্রোনসহ আকাশযান শনাক্তের উন্নত ব্যবস্থা রয়েছে হিজবুল্লাহর হাতে। আর এতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা প্রতিপক্ষের আকাশযান সহজে শনাক্ত করতে পারছে।

হানি আল-দালির মতে, আকাশপথে ইসরায়েল নিজেদের যতটা শক্তিশালী মনে করে থাকে, হিজবুল্লাহর এই সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে তা কিছুটা হলেও বাধার মুখে পড়েছে। এতে হিজবুল্লাহর নেতা ও যোদ্ধাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে ইসরায়েলি ব্যবস্থাও বিকল হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হানি আল-দালি মনে করেন, হিজবুল্লাহর এমন অগ্রগতি ইসরায়েলকে অনেক কিছু করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছে। একই সঙ্গে এসব বিষয় হিজবুল্লাহ ও তার সমর্থকদের মনোবল বাড়িয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং এর মধ্যেই লেবাননের শিয়া এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি সীমান্তের ওপারে ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ জোরদার করেছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত লেবাননে কমপক্ষে ৩৭৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে ৭০ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর