গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামী সংগঠগন হামাসের যোদ্ধারা।
হামাসের ওই অভিযানে একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে পাঁচজন ইসরায়েলি নারী সেনাকে বন্দি করার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে।
জিম্মি হিসেবে আটক এসব সেনার পরিবার অনুমতি দেওয়ার পর বুধবার ইসরায়েলের একটি প্রচারণা দল এই ভিডিও প্রকাশ করে।
তিন মিনিটের ওই ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, নারী সেনারা মাটিতে বসে আছেন, কারও কারও মুখে রক্ত, তাদের হাত পেছনে শক্ত করে বাঁধা। দক্ষিণ ইসরায়েলের নাহাল ওজ ঘাঁটি থেকে তাদের বন্দি করা হয়।
জিম্মি ও নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ফ্যামিলি ফোরামের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামাসের ক্যামেরায় ধারণ করা দুই ঘণ্টার ভিডিও থেকে এ ফুটেজ নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভিডিওতে তাদের অপহরণের সময়ে হিংসাত্মক, অপমানজনক ও আতঙ্কজনক আচরণের বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে।
ফুটেজের শেষ দিকে দেখা গেছে, এসব নারী সেনাকে হামাস যোদ্ধারা একটি সামরিক জিপে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
ওই সামরিক ঘাঁটিতে হামাসের হামলায় ৫০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন নারী সেনা।
এ সময়ে হামাস সাত নারী সৈন্যকে জিম্মি হিসেবে বন্দি করে। তাদের মধ্যে একজনকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপর একজনের লাশ উদ্ধার করে ইসরায়েলকে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে হামাস বলেছে, ভিডিও ফুটেজে কারসাজি করা হয়েছে যাতে মিথ্যা অভিযোগ এবং প্রতিরোধের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করা যায়।
উল্লেখ্য, হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও হামাসের কাছে ১২৪ জিম্মি আটক রয়েছে।
এ ঘটনার পর ওই দিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৭০৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের ৬০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, হারেৎজ, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, এপি, স্কাই নিউজ, নিউ ইয়র্ক টাইমস, এবিসি নিউজ, ওয়াশিংটন পোস্ট