ঢাকা, শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মর্মান্তিক, ছেলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর এবার বাবার জেল!
অনলাইন ডেস্ক
মাশাল্লাহ কারামি (ডানে)

ঘটনাটি ইরানের। দেশটির একটি আদালত মাশাল্লাহ কারামি নামে এক ব্যক্তিকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। প্রায় দেড় বছর আগে মাশাল্লাহ কারামির ২২ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা গেছে মর্মান্তিক এই ঘটনার সংবাদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাবা হিসেবে ছেলেকে বাঁচানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন মাশাল্লাহ কারামি। ছেলেকে যাতে ক্ষমা করা করা হয়, সেজন্য প্রচার চালিয়েছিলেন এই দুর্ভাগা বাবা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ব্যর্থ হন।

মাশাল্লাহ কারামির আইনজীবী আলী শরিফজাদেহ আরদাকানি শনিবার এক্সে বলেন, রাজধানী তেহরানের উপশহর করজের একটি বিপ্লবী আদালত মাশাল্লাহ কারামিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন। বেআইনিভাবে সমাবেশের আয়োজন ও অনুদান সংগ্রহের অভিযোগে তাকে এই দণ্ড দেওয়া হয়।

আইনজীবী আলী শরিফজাদেহ আরদাকানি আরও বলেন, এই রায়ে ত্রুটি আছে এবং রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

জানা গেছে, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাশাল্লাহ কারামির ছেলের নাম মোহাম্মদ মেহেদি কারামি। ইরানের আধা সামরিক বাহিনীর এক সদস্যকে হত্যার ঘটনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।

মেহেদি কারামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দুই মাস আগে বিক্ষোভের মধ্যে ইরানের ওই আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হন।

মাশাল্লাহ কারামি তার ছেলের জীবন রক্ষার আবেদন জানিয়েছিলেন। এ জন্য তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিও দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আবেদনে কর্ণপাত করেনি ইরানি কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের জানুয়ারিতে মাশাল্লাহ কারামির ছেলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পরে এই বাবা তার ছেলের কবর, আত্মীয়স্বজনসহ অন্যদের শোকের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন।

পুলিশি হেফাজতে ইরানের কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর জেরে দেশটিতে ২০২২ সালে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল। পরে ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে সেই বিক্ষোভ এবং তা বেশ কয়েক মাস ধরে চলে।

ইরানে নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক পোশাকবিধি রয়েছে। সেই পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মাসা আমিনিকে গ্রেফতার করে দেশটির নীতি পুলিশ। ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, ভয়েস অব আমেরিকা, এএফপি

বিডি প্রতিদিন/একেএ



এই পাতার আরো খবর