কারাগারেই যেতে হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। আদালতের নির্দেশ মেনেই রবিবার দিল্লির তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করেন কেজরিওয়াল। বিকাল পাঁচটার দিকে দিল্লির দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিহার জেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন কেজরি। এ সময় তার সাথে ছিলেন সঞ্জয় সিং, সৌরভ ভরদ্বাজসহ আপের শীর্ষ নেতারা।
কারাগার সূত্রের খবর, ২-নম্বর জেলে রাখা হতে পরে কেজরিকে। কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী সূর্যাস্তের আগেই কোনো কয়েদিকে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়।
কারাগারে যাওয়ার আগে এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র নিশানা করে আপ প্রধান বলেন, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার কারণেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিন দিল্লিতে দলের সদর কার্যালয়ে কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে গিয়ে কেজরি বলেন, 'আমি দিল্লির মানুষদের কাছে বলব আপনাদের সন্তান ফের কারাগারে যাচ্ছে। এটা এমন নয় যে আমি দুর্নীতি করেছি, বরং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কারণেই আমাকে কারাগারে যেতে হচ্ছে। চলমান নির্বাচনী প্রচারণায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে তার কাছে আমার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ নেই। তারা অন্তত ৫০০ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কিন্তু কোন জায়গা থেকেই একটি কানাকড়িও উদ্ধার করতে পারেনি।'
১ জুন ভারতের সপ্তম ও শেষ দফার নির্বাচন শেষে বিভিন্ন সংস্থার এক্সিট পোলে আভাস পাওয়া গেছে যে, দ্বিতীয়বারের জন্য ফের কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন 'জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট' (এনডিএ)। এক্সিট পোলের সেই ভবিষ্যৎবাণীকেও ভুয়া বলে দাবি করেন কেজরি।
তার অভিমত 'এক্সিট পোলের সমস্ত তথ্যই ভুয়া। একটা এক্সিট পোল রাজস্থানে বিজেপিকে ৩৩ টা আসন দিয়েছে, কিন্তু রাজস্থানে লোকসভার আসন রয়েছে ২৫ টি। নির্বাচনী ফলাফলের তিনদিন আগে কেন এরকম ভুয়া এক্সিট পোল করতে হলো? এর পিছনে অনেকগুলি থিওরি রয়েছে। এর অন্যতম একটি কারণ হলো তারা 'ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন' (ইভিএম) গুলিকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করছে।'
বিডি প্রতিদিন/হিমেল