নিষিদ্ধ করতে চাওয়া সেই টিকটকের আশ্রয় নিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজেই এখন এই সামাজিক মাধ্যমের আশ্রয় নিয়ে তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, টিকটকে যোগ দিতেই ১০ লাখ ফলোয়ার পেয়েছেন ট্রাম্প। অথচ প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জাতীয় নিরাপত্তার কারণে তিনিই এই ক্ষুদ্র ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রচারণা টিম ইতোমধ্যেই টিকটকে রয়েছে, যে অ্যাপ ১৭ কোটি আমেরিকান ব্যবহার করে। তবে বাইডেন এরই মধ্যে একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন যার ফলে টিকটকের চীনা মালিক বাইটড্যান্স যদি তাদের অংশ বিক্রি না করে, তাহলে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
ট্রাম্প স্থানীয় সময় শনিবার রাতে টিকটকে তার অ্যাকাউন্ট শুরু করেন একটি ভিডিও দিয়ে। ভিডিওতে দেখা যায় তিনি নিউ জার্সি রাজ্যের নেওয়ার্ক-এ আল্টিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ-এর ফাইটে সমর্থকদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। উল্লেখ্য, বাইডেনর সই করা আইন অনুযায়ী, টিকটকের চীনা মালিক বাইটড্যান্স হয় জানুয়ারির মধ্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করবে, নয়তো আমেরিকায় তা নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হবে। যদিও এই আইন চ্যালেঞ্জ করে মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্স আদালত মামলা করেছে। হোয়াইট হাউস বলছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তারা অ্যাপের চীনা মালিকানার অবসান দেখতে চাইছে।
টিকটক জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনের সরকারের সাথে শেয়ার করবে না। তারা বলছে, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন টিকটক নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা আদালত আটকে দিয়েছিল। তিনি গত মার্চ মাসে টিকটককে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে অভিহিত করেন। এ সময় তিনি এও বলেন, নিষেধাজ্ঞা কিছু তরুণকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং মেটা কোম্পানির ফেসবুককে শক্তিশালী করবে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
বিডি প্রতিদিন/একেএ