ঢাকা, সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কাশ্মীরে সশস্ত্র হামলা সামলাতে কড়া নির্দেশ মোদির
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক সশস্ত্র হামলার পরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্দেশ দিয়েছেন যেন তাদের দমনে যেসব ব্যবস্থাপনা আছে তা যেন অতি দ্রুত সেখানে কাজে লাগানো হয়। গত রবিবার থেকে শুরু হয়ে পর পর একটি সশস্ত্র হামলা ও তিন জায়গায় অস্ত্রধারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। ওই সব ঘটনায় নয়জন হিন্দু তীর্থযাত্রী, একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য ও দু’জন সন্দেহভাজন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য মারা গেছেন।

কাশ্মীরের পুলিশ সন্দেহ করছে নতুন কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করে এই হামলাগুলো চালাচ্ছে। আরও অস্ত্রধারী কাঠুয়া আর ডোডা অঞ্চলে লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। তাই অচেনা ব্যক্তি বা সন্দেহজনক বস্তুর ব্যাপারে এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পুলিশ, এমনটাই খবর সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ তাদের এক্স হ্যান্ডেলে চারজন সন্দেহভাজন সশস্ত্র ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করেছে এবং প্রত্যেকের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য পাঁচ লক্ষ ভারতীয় রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

কী নির্দেশ দিলেন নরেন্দ্র মোদি জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার সশস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর সামনে ব্যাখ্যা করেন ডোভালসহ পদস্থ কর্মকর্তারা। সশস্ত্র গোষ্ঠী দমনে নিরাপত্তা বাহিনী এবং এজেন্সিগুলি কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তারও বিস্তারিত জানানো হয় বৈঠকে।

এরপরেই মোদি নির্দেশ দেন, সশস্ত্র গোষ্ঠী দমনের যত ব্যবস্থাপনা আছে তার প্রত্যেকটিকে কাজে লাগাতে হবে। বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও এজেন্সির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে সম্ভাব্য হুমকিগুলির মোকাবিলা করার কথা বলেছেন মোদি, সরকারি সূত্রগুলো উদ্ধৃত করে জানিয়েছে এএনআই। বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি।

গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার দিনই এই সপ্তাহের প্রথম সশস্ত্র হামলা হয় জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায়। হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহন করা একটি বাসের ওপরে হামলা চালায় অস্ত্রধারীরা, যাতে নয়জনের মৃত্যু হয়। এরপরে কাঠুয়া ও ডোডা জেলায় পরপর সশস্ত্র ব্যক্তি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

বিডি-প্রতিদিন/শআ



এই পাতার আরো খবর