ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পুতিনকে যুদ্ধে সহায়তার ফল ভোগ করতে হবে চীনকে : ন্যাটো মহাসচিব
অনলাইন ডেস্ক
ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ

সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, চীন তার অবস্থান না বদলালে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন দেয়ার পরিণতি ভােগ করতে হবে দেশটিকে।

বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ন্যাটো মহাসচিব।

ন্যাটোর মহাসচিব বলেন,‘চীন দুইদিকেই সুবিধা নিতে চাইছে’। স্টলটেনবার্গ বলেন, একদিকে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন দিচ্ছে, অন্যদিকে ইউরোপের মিত্রদের সাথেও সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে চীন। এটা দীর্ঘমেয়াদে কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওয়াশিংটনে এক সফর চলাকালীন তার সাথে কথা হয় বিবিসির। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে, পারমাণবিক অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষ ব্যয় নিয়েও কথা বলেন ন্যাটো প্রধান।

একদিন আগেই সুইজারল্যান্ডে একটি শান্তি সম্মেলন শেষ হয়েছে, যেখানে কিয়েভকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে অনেক রাষ্ট্র।

কিন্তু, রাশিয়া সম্মেলনটিকে ‘সময়ের অপচয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছে, ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করলেই কেবল তারা শান্তি আলোচনায় সম্মত হবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার এমন অনমনীয় অবস্থানের মধ্যেই ন্যাটো মহাসচিবের মন্তব্যটি এলো।

রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের ব্যাপারে ন্যাটো দেশগুলো কী করতে পারে, এমন প্রশ্নে স্টলটেনবার্গ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্যতা নিয়ে একটি ‘আলোচনা চলমান’ আছে।

‘চীন অনেক প্রযুক্তি সরবরাহ করছে। এর মধ্যে মাইক্রো-ইলেকট্রনিক্সের মতো প্রযুক্তিও আছে, যা দিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে,’ যোগ করেন স্টলটেনবার্গ।

তিনি বলেন, ‘চীন যদি তাদের এই আচরণ না পাল্টায়, আমাদের কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ বিবেচনা করতে হবে।’

বেইজিং ইতোমধ্যেই কিছু নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে। গত মাসে চীন এবং হংকং ভিত্তিক ২০টি প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র বিক্রি করছে না দাবি করে, চীন মস্কোর সাথে তার বাণিজ্য সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে এবং ‘আইন-কানুন মেনেই সুকৌশলে ডুয়াল-ইউজ (দ্বিমুখী ব্যবহারযোগ্য) ব্যবস্থায় পণ্য রপ্তানি করছে।’

এদিকে, ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া গেলেন। মঙ্গলবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এটা নিশ্চিত করার পরই ওয়াশিংটন সফরে যান স্টলটেনবার্গ।

গত মাসে চীন সফরে গিয়েছিলেন পুতিন। এর আগে ২০২২ সালে ইউক্রেনের সাথে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া বিশ্ব মঞ্চে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে থাকে।

ভ্লাদিমির পুতিন বারবার বলে আসছেন, পশ্চিমা বিশ্বের ক্ষমতার ভারসাম্য সরে যাচ্ছে। আর তিনি সমমনা নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে কাজ করে যাচ্ছেন।

‘রাশিয়া এখন আরো বেশি বেশি কর্তৃত্ববাদী শাসকদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে,’ বিবিসিকে বলছিলেন স্টলটেনবার্গ। উদাহরণ হিসেবে ইরান, চীন এবং উত্তর কোরিয়ার নাম উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া গোলা-বারুদ পাঠাচ্ছে। বিনিময়ে দেশটির মিসাইল ও পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিচ্ছে রাশিয়া।

‘অর্থাৎ, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধের আগ্রাসন চালাতে রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে।’

সূত্র : বিবিসি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর