ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হামাস নেতাদের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ
অনলাইন ডেস্ক
গাজার ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একজন ফিলিস্তিনি শিশু

গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুলরাহমান বিন কাসেম আল থানি। দোহায় তিনি এই বৈঠক করেন বলে কাতারের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।

খবর অনুসারে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতার অংশ হিসেবেই কাতারের প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠক করেছেন। কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  কিন্তু এখন পর্যন্ত বড় কোনো অর্জন দেখতে পায়নি তারা।

সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তিন স্তরের একটি যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। বাইডেন হামাস-ইসরায়েলকে তার ঘোষিত পরিকল্পনা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু হামাস বাইডেনের প্রস্তাব পরিমার্জিত করে তাদের জবাব পেশ করেছে। প্রস্তাব পরিমার্জন করায় বাইডেন প্রশাসন ক্ষুব্ধ  প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মিসর ও কাতার বলছে, তারা একটি যুদ্ধবিরতি অর্জন করার জন্য এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাইডেনের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় যা আছে পরিকল্পনাটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। এ সময়ে গাজার সব জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের তুলে নেওয়া হবে।যুদ্ধবিরতির সময় হামাস ‘নির্দিষ্টসংখ্যক’ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তাদের মধ্যে নারী, বয়স্ক ব্যক্তি ও আহত জিম্মিরা থাকবেন। এর বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দী থাকা কয়েক শ মানুষকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া হামাসের হাতে জিম্মি অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। গাজার সব এলাকায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে ফিরতে সুযোগ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাড়ানো হবে। গাজায় প্রতিদিন মানবিক সহায়তাবাহী ৬০০ ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজাবাসীর জন্য হাজারো সাময়িক আবাসনের ব্যবস্থা করবে।

ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা চলমান থাকবে। যদি আলোচনা সফল হয়, তবে পরবর্তী পর্যায়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। তাদের মধ্যে জিম্মি সেনারাও থাকবেন। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ সেনাকেও সরিয়ে নেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতিকে ‘স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধে’ উন্নীত করা হবে।

তৃতীয় পর্যায়ে জিম্মি ফেরানোর প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ করা হবে। গাজার জন্য বড় ধরনের একটি ‘পুনর্গঠন–পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এর আওতায় মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সহায়তায় এ উপত্যকায় বাড়ি, বিদ্যালয় ও হাসপাতাল পুনর্নির্মাণ করা হবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর