ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

উত্তর কোরিয়ায় পুতিনকে ব্যাপক অভ্যর্থনা
অনলাইন ডেস্ক
রেড কার্পেট দিয়ে হেঁটে যান পুতিন ও কিম। পাশে বেলুন হাতে উত্তর কোরিয়ার শিশু-কিশোরের দল

দীর্ঘ ২৪ বছর পর উত্তর কোরিয়ায় সফরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছান।

বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। পুতিনের অপেক্ষায় তিনি এত রাতেও পিয়ংইয়ংয়ের বিমানবন্দরের টারমাকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। 

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পুতিনের জন্য ব্যাপক অভ্যর্থনার আয়োজন করে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং পর্যন্ত  সড়কে ছিল জনতার ঢল।

এএফপির ফুটেজে দেখা গেছে, সড়কের দু’ধারে লাখো জনতা দাঁড়ানো। এছাড়া ভবনের ছাদ থেকেও তাদের হাত দোলাতে দেখা গেছে। কিছু মানুষের হাতে ফুল এবং রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া পতাকা দেখা গেছে।   

এছাড়া কিছু মানুষকে ছাতা এবং টুপি দোলাতে দেখা গেছে। গরমের তাপ থেকে বাঁচতে লোকজনকে গাছের নিচেও দাঁড়াতে গেছে।   

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এদের মধ্যে কতজন স্বেচ্ছায় সেখানে উপস্থিত হয়েছেন তা বলা মুশকিল। উত্তর কোরিয়া একটি নিষ্ঠুর, সর্বগ্রাসী শাসন চালাচ্ছে যেখানে প্রকাশ্য সমর্থনের অভাব যেকোনো কিছুই কঠোর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

পুতিনের সঙ্গে সফরে দেশটির বিভিন্ন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একটি প্রতিনিধিদল রয়েছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও পুতিনের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।

সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তিনি বলেন, চুক্তিটি দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াবে। গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাসহ  বিভিন্ন ইস্যুতে দেশ দুটির মধ্যে যা হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেই এই চুক্তি সই করা হবে। তবে এ চুক্তি সরাসরি কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না।

পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফরকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। পুতিনের এ সফর নিয়ে গত শুক্রবার মার্কিন উপ-রাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম হং-কিউন। দক্ষিণ কোরিয়ার শঙ্কা, পুতিনের সফরের ফলে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়বে, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবের লঙ্ঘন।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর