কাতার থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের অফিস ইরাকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। গতমাসে ইরাক সরকার এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে। ইরাকের একজন জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য এই তথ্য জানিয়েছেন।
ওয়াইনেটের খবরে বলা হয়েছে, হামাস এই দাবি প্রত্যাখান করেছে। তারা বলেছে, হামাস কাতার ছেড়ে ইরাকে যাওয়ার চেষ্টা করছে এই প্রতিবেদন ভিত্তিহীন।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং ইরাকের প্রতিনিধিরা একটি বৈঠকে বসেন। সেখানে কাতার ত্যাগ করে ইরাকে দপ্তর স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমান হামাসের রাজনৈতিক দপ্তর কাতারে অবস্থিত। কিন্তু চলমান যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখা কাতারের অনেক কথা না শোনায় হামাসকে তারা অফিস সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানায় বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে খবরে বের হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও কাতারকে চাপ প্রয়োগ করে।
হামাসের অফিস সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দ্য ন্যাশনাল নামে গণমাধ্যমে ইরাকের সংসদ সদস্য বলেন, ‘ইরাকের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হামাসের অফিস তাদের দেশে নেওয়া নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। কিছু কুর্দি এবং কিছু সুন্নি নেতা মনে করেন, এটা হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য আরও গভীর হবে। তবে এটা সত্ত্বেও সরকার হামাসকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না।
তবে কোন তারিখে কাতার ছেড়ে হামাস নেতারা ইরাকে আসবেন সেই তথ্য জানানো হয়নি। ইরাক সরকার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে চায়নি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল