প্রায় আড়াই বছর ধরে রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করে ইউক্রেন তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলছে। যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেন পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সমন্বয় করে ইইউর পূর্ণ সদস্য হওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে।
ইউক্রেনের ভূখণ্ডের একটি বড় অংশ রাশিয়ার দখলে থাকায় ন্যাটো সদস্যপদ এখনই সম্ভব নয়। তবে ইইউর সদস্যপদ পাওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেন ইইউতে যোগদানের আবেদন করে।
গতকাল ইইউ কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেন ও মলদোভার সাথে আলোচনা শুরু করেছে। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্মিগাল এই সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এই সিদ্ধান্তকে ইউক্রেন, মলদোভা ও ইইউর মানুষের জন্য শুভসংবাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইউক্রেনকে ইইউর মানদণ্ড পূরণের জন্য অনেক সংস্কার করতে হবে। হাঙ্গেরির মতো রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ দেশগুলো ইউক্রেনের সদস্যপদের বিরোধিতা করতে পারে, তবে যুদ্ধের মাঝেও ইউক্রেন বেশ কিছু সাহসী সংস্কার করেছে।
ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ওলগা স্টেফানিশনা ২০৩০ সালের মধ্যে সব পূর্বশর্ত পূরণ করে ইইউর সদস্য হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার আশা, ২০২৫ সালেই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শেষে সদস্যপদ আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার পর ইইউর নতুন সদস্য গ্রহণের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিম বলকান অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে আলোচনা অগ্রসর হচ্ছে, ফলে সার্বিয়া, মন্টেনিগ্রো, আলবেনিয়া ও উত্তর মেসিডোনিয়াও ভবিষ্যতে পূর্ণ সদস্য হতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল