ঢাকা, রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিতর্কে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা নিয়ে একে অপরকে দুষলেন বাইডেন-ট্রাম্প
অনলাইন ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প (বামে) ও জো বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের টেলিভিশন বিতর্কে একে অন্যকে লক্ষ্য করে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ করেছেন দুই প্রধান প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

পররাষ্ট্র নীতি, অর্থনীতি, সীমান্ত ইস্যু, সামাজিক নিরাপত্তা, চাইল্ড কেয়ার, কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা এবং গর্ভপাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলার সময় তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ আনেন। বিতর্কের এক পর্যায়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা নিয়েও একে অপরকে দোষারোপ করেন ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান দলের এ দুই প্রার্থী। 

আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচন সামনে রেখে এই প্রথম তারা একে অন্যের মুখোমুখি হলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনীতি সামলানো, পররাষ্ট্র নীতির রেকর্ড ও ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসীর বিষয়ে বাইডেনের সমালোচনা করেন। 

অন্যদিকে আদালতে সম্প্রতি ট্রাম্পের সাজার প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্পকে ‘গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’ বলে উল্লেখ করেন বাইডেন।

বিতর্কে ট্রাম্প শেষ করেছেন এই বলে যে, আমেরিকার মানুষ এখন জাহান্নামে বাস করছে। তার ভাষায়, “সাড়ে তিন বছর ধরে আমরা জাহান্নামে বাস করছি।”

অন্যদিকে বাইডেন তার শেষ বক্তব্যে আমেরিকানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, তিনি কর কমিয়ে আনতে চান। একই সঙ্গে দাবি করেন, ট্রাম্প কর বাড়িয়ে দেবেন।

রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের যারা মনোযোগ দিয়ে বিতর্ক দেখেছেন তারা অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সাবেক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান স্টেফাইন মারফি বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু মন্তব্য করেছেন যা ‘সত্যি নয়’ এবং এগুলো সত্যতা যাচাই করা উচিত। তিনি বলেন, তার উদ্বেগের জায়গা হল নির্বাচনের ফল গ্রহণ করবেন কি-না তা বলতে ডোনাল্ড ট্রাম্প অনীহা দেখিয়েছেন।

সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান রোডনি ডেভিস বলেছেন, বিতর্কটি ছিল ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিষ্কার জয়’। 

তিনি বলেছেন, “আমেরিকাজুড়ে ডেমোক্র্যাটদের জন্য দুঃখজনক যে, বিতর্কের ধরণটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সহায়তা করেছে।”

বিবিসির ম্যাডেলাইন হ্যালপার্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর কোরউইন স্মিডট বলেছেন, বাইডেন তার অনেক দুর্বলতা দেখিয়েছেন এবং খুব বেশি শক্তির জায়গা দেখাননি। ভিজুয়াল, কণ্ঠ ও জবাব দেওয়ার গতির কারণে তাকে অনুসরণ করাটা কঠিন ছিল। 

তিনি বলেন, “অনেক তথ্যভিত্তিক জবাব ও পয়েন্ট প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন। কিন্তু বলার ধরনের কারণে সেগুলো দ্রুত হারিয়ে গেছে।”

ডেমোক্র্যাট বলেছে, গত কয়েকদিন ধরে তার ঠাণ্ডা লাগার কারণে বাইডেনের কণ্ঠ খসখসে শোনাচ্ছে। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি ও রয়টার্স

বিডি প্রতিদিন/একেএ



এই পাতার আরো খবর