ঢাকা, সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ইহুদি ভোটারদের সমর্থন নিয়ে বাইডেন শিবিরে উদ্বেগ
অনলাইন ডেস্ক
জো বাইডেন

৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ও ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের ফলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আসন্ন নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের ইহুদি ভোটারদের সমর্থন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা ডেমোক্র্যাটদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোয় আরব বংশোদ্ভূত আমেরিকান ও প্রগতিশীল ইহুদি আমেরিকানদের মধ্যে বাইডেনের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে উঠেছে। পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, জর্জিয়া, উইসকনসিন ও অ্যারিজোনার মতো ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোয় ইহুদি আমেরিকানদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বাইডেনের নির্বাচনী শিবির নিয়মিত ‘জুইশ ওমেন ফর জো’ নামে একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে এবং শিগগিরই একজন ‘ফেইথ এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর’ নিয়োগ দেওয়া হবে, যার ইহুদি ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে। তবে অনেক ইহুদি নেতা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা যথেষ্ট যোগাযোগ দেখতে পাচ্ছেন না।

জুইশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল অব আমেরিকার (জেডিসিএ) নেতারা হতাশা প্রকাশ করেছেন, প্রগতিশীল মিত্ররা তাদের পরিত্যাগ করছেন। এতে তাদের রাজনৈতিকভাবে ‘গৃহহীন’ মনে হচ্ছে। মিশিগানের ইহুদি ভোটারদের মধ্যে হতাশা দেখা গেছে, বাইডেন দলের বামপন্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।

হোয়াইট হাউসে ইহুদি ভোটারদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস ও অভ্যন্তরীণ নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা নীরা ট্যান্ডেন ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেছেন। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি ইসরায়েলের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।

বাইডেনের পুনর্নির্বাচনের প্রচারণাকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, তা নিয়ে হোয়াইট হাউসে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ইহুদিদের বিরোধিতা বেড়েছে, যা বাইডেনকে আরও চাপে ফেলছে।

অন্যদিকে, ট্রাম্প ইহুদি আমেরিকানদের সমর্থন পেতে চেষ্টা করছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প ৩০ শতাংশ ইহুদি ভোটারের সমর্থন পেয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তবে ট্রাম্প ইহুদিবিদ্বেষমূলক ঘটনার সমালোচনা করেননি এবং হামাসের হামলার পর নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেছিলেন।

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাইডেনের জন্য রাজনৈতিক ঝুঁকি বেড়েছে। সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান লি জেলডিনের মতে, ডেমোক্রেটিক পার্টি যদি সঠিকভাবে পরিচালিত না হয়, তবে ইহুদি ভোটাররা নিজেদের আরও বিচ্ছিন্ন বোধ করতে পারে।

রিপাবলিকান জুইশ কোয়ালিশন ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোয় ইহুদি ভোটারদের সমর্থন বাড়াতে কমপক্ষে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে। তাদের মূল বক্তব্য হলো, চার বছর আগে আপনি যতটা নিরাপদ বোধ করতেন, এখন তার থেকে বেশি নিরাপদ বোধ করছেন কিনা।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর