ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ট্রাম্পের দায়মুক্তি: ‘বিপজ্জনক নজির’ বললেন বাইডেন
অনলাইন ডেস্ক
গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জো বাইডেন

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আংশিক দায়মুক্তি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, এই রায় মার্কিন বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে ‘বিপজ্জনক নজির’ স্থাপন করেছে এবং সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে দেশের জন্য ‘ক্ষতিকর’ হয়ে উঠছে।

হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জো বাইডেন বলেন, এই দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই মূলনীতির ওপর, যেখানে সবাই আইনের সামনে সমান। কোনো রাজা নেই এখানে, প্রেসিডেন্টও আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায় দেখাচ্ছে যে একজন ব্যক্তি, যিনি ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য অনুসারীদের পাঠিয়েছিলেন, তিনি দায়মুক্তি পাচ্ছেন। এটি দেশ ও জনগণের জন্য ক্ষতিকর। সুপ্রিম কোর্টের উচিত এই রায়ের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করা।

নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালের নির্বাচনেও তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তবে সে সময় ট্রাম্প ছিলেন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে—২০২০ সালের নির্বাচন বাতিলের চেষ্টা, ক্যাপিটল হিলে হামলায় উসকানি, পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ প্রদান, কর ফাঁকি, এবং রাষ্ট্রের গোপন নথি সরানোর অভিযোগে। এর মধ্যে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের জেলা আদালতে কর ফাঁকি ও সম্পদের তথ্য গোপন করার ঘটনায় ইতোমধ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে এবং সেসব অভিযোগের বিচারকাজও চলছে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের নেতৃত্বে ৬ জন বিচারপতির একটি বেঞ্চের দেওয়া রায়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন ট্রাম্পের দাপ্তরিক অপরাধমূলক পদক্ষেপের জন্য তিনি দায়মুক্তি পাবেন। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে যে সব অপতৎপরতায় তিনি যুক্ত ছিলেন, সেগুলোর জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

এই রায়ের ফলে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র, ক্যাপিটল হিলে হামলার উসকানি, এবং রাষ্ট্রের গোপন তথ্য সরানোর অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাগুলো ফের নিম্ন আদালতে ফিরে যাবে। এতে মামলার বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হবে, যা রাজনৈতিকভাবে ট্রাম্পের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে, কারণ আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর