ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া কে এই কিয়ার স্টারমার
অনলাইন ডেস্ক

ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। আর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হয়েছে। নির্বাচনে ৪১২ আসনে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। সরকার গঠনে দলটির প্রয়োজন ছিল ৩২৬ আসন। ব্রিটিশ নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু ঠিক থাকলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বামপন্থী লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। খবর বিবিসির।

এদিকে, নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টির, দলটি পেয়েছে ১২১টি আসন। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্র্যাটসরা ৭১টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। 

তাই এখন সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বিরোধী দলের এই নেতা স্টারমার।। তিনি শুধু একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ নন বরং লেবার পার্টি বিশ্বাস করে ১৪ বছরের রক্ষণশীল শাসনের পরে ব্রিটেনের স্থির এবং নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে এখন স্টারমারের প্রয়োজন।

কে এই কিয়ার স্টারমার ১৯৬২ সালে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে জন্ম কিয়ার স্টারমারের। একটি শ্রমজীবী ​​পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার মা, একজন নিবেদিত এনএইচএস নার্স। তার বাবা ছিলেন একজন টুল মেকার। স্টারমার রিগেট গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তার পরিবারে তিনিই প্রথম সদস্য যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন স্টারমার।

৬১ বছর বয়সী স্টারমার রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন মানবাধিকার আইনজীবী। যুক্তরাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউশন দপ্তরের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে লেবার পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন স্টারমার। জেরেমি করবিনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। দায়িত্ব নিয়ে দলকে যুক্তরাজ্যের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন স্টারমার। কয়েক বছরের মাথায় ভোটের লড়াইয়ে এর সুফল পেলেন তিনি।

সমর্থকদের চোখে স্টারমার একজন বাস্তববাদী মানুষ। ভরসা করার মতো রাজনীতিবিদ। সমালোচকদের অনেকের মতে, স্টারমার চৌকস নন বরং তিনি অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়া একজন রাজনীতিক। রাজনীতির মাঠে সাড়া ফেলে দেওয়া স্টারমার একজন দক্ষ ফুটবলার। ক্লাব ফুটবলে আর্সেনালের ভক্ত তিনি। ফৌজদারি বিচারপ্রক্রিয়ায় অবদান রাখায় ‘নাইট’ উপাধি পেয়েছেন স্টারমার।

স্টারমার ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য উত্তর আয়ারল্যান্ড পুলিশিং বোর্ডের আইনি উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৯৮ সালে গুড ফ্রাইডে চুক্তির পরের সময়টা এই অঞ্চলের ইতিহাসে সংকটময় ছিল। কয়েক দশকের সংঘাতের পর শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই চুক্তি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সময়ে স্ত্রী ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে তার দেখা হয় স্টারমারের। যিনি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) জন্য কর্মরত ছিলেন। এই দম্পতি ২০০৭  সালে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/শআ



এই পাতার আরো খবর