ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের বোঝাপড়ার ইঙ্গিত
অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পণবন্দিদের মুক্তির লক্ষ্যে বোঝাপড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর হামাসের ব্যাপক হত্যালীলায় ১,১৯৫ জন নিহত হয়েছিল। এছাড়া ২৫১ জন মানুষকে পণবন্দি হিসেবে তারা গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তার ফলে এখনো পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৮,০১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। খবর ডয়চে ভেলের।

বলা হয়েছে, পণবন্দিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে, অনেকে বন্দিদশায় প্রাণ হারিয়েছে। এখনো ১১৬ জন গাজায় আটক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। যদিও তাদের মধ্যে সবাই জীবিত কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় অবশিষ্ট পণবন্দিদের মুক্তি ও অস্ত্রবিরতির একাধিক প্রচেষ্টা এখনো পর্যন্ত সফল হয়নি। মার্কিন প্রশাসন এবার পণবন্দিদের মুক্তির প্রশ্নে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বোঝাপড়ার আশা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বোঝাপড়ার দাবি করেছেন। তবে তার মতে, সেই পরিকল্পনা কার্যকর করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে এখনো সমঝোতা হয়নি। ফলে আগামী কয়েক দিনে চূড়ান্ত সাফল্যের আশা নেই। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তিনি পণবন্দিদের মুক্তির লক্ষ্যে হামাসের সঙ্গে আলোচনা আবার শুরু করার জন্য কাতারের রাজধানী দোহায় এক প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা বলেন।

সেই কর্মকর্তার মতে, নেতানিয়াহু আবার আলোচনার ছাড়পত্র দেওয়ায় বাইডেন সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, পরে জানা গেছে, ইসরায়েলের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডাভিড বারনেয়া স্বয়ং দোহায় যাচ্ছেন। শুক্রবারই সেই আলোচনা হওয়ার কথা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সূত্র অনুযায়ী, তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আবদুলরহমান আল তানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের পাঠানো প্রস্তাব নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান বন্ধ করে পণবন্দিদের মুক্তির লক্ষ্যে বোঝাপড়ার জন্য দেশে-বিদেশে প্রবল চাপের মুখে রয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। তবে তার জোট সরকারের উগ্র ধর্মীয় ও জাতিয়তাবাদী শরিকরা হামাসের সঙ্গে আপোশের ঘোর বিরোধিতা করে আসছে।

বাইডেন প্রশাসন বর্তমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে জোরালো উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় শান্তি ফেরাতে কাতার, মিশরসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। গত মে মাসে বোঝাপড়ার এক কাঠামো প্রস্তুত হলেও ইসরায়েল ও হামাস এতকাল সেই পথে এগোতে দ্বিধা করছিল। এবার হামাসের কিছু পালটা প্রস্তাবের ভিত্তিতে চূড়ান্ত বোঝাপড়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই মার্কিন কর্মকর্তা মনে করছেন। একাধিক সাংবাদিকদের সামনে তিনি সেই আশার আলো দেখানোয় বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।

বিডি-প্রতিদিন/শআ



এই পাতার আরো খবর