ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

১৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও কেন জিততে পারল না ঋষি সুনাকের দল?
অনলাইন ডেস্ক
ঋষি সুনাক ও তার স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি। ফাইল ছবি

টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে দেশটির কনজারভেটিভ পার্টির। জয় পেয়েছে বিরোধী দল হিসেবে থাকা লেবার পার্টি। কিন্তু কী কারণে কনজারভেটিভ পার্টির এমন ভরাডুবি হল? তা নিয়েই এখন প্রশ্ন অনেকের।

এদিকে, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির বিষয়ে একাধিক বিষয় সামনে এনেছে সংবাদমাধ্যমটি। এর মধ্যে রয়েছে ব্রেক্সিট ইস্যু, অবৈধ অভিবাসন নীতি এবং করোনা বিশৃঙ্খলাসহ আরও বেশ কিছু ঘটনা।

২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কনজারভেটিভ পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল। কারণ এর পর থেকেই দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘরে–বাইরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। টেকসই নেতৃত্ব সংকটের কারণে গত ১৪ বছরের শাসনামলে পাঁচবার প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করতে হয়েছে দলটিকে।

এছাড়া কোভিড মহামারীর সময় লকডাউন ঘোষণা না করে জনসাধারণকে মৃত্যুরে দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। এজন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন কনজারভেটিভ দলের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ ঘটনায় তাকে একটি তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হয়েছে। লকডাউন চলাকালে ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টির খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জনগণের ক্ষোভ বেড়ে যায় এবং জনগণ কনজারভেটিভ পার্টির ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে শুরু করে।

কনজারভেটিভ পার্টির পরাজয়ের পেছনে রয়েছে অবৈধঅভিবাসী ঠেকানোর ব্যর্থতাও। ফরাসি উপকূল থেকে ছোট নৌকায় করে অবৈধভাবে আসা অভিবাসন ঠেকাতে তেমন কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি দলটি। বরং যুক্তরাজ্যে আসা বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের একের পর এক কঠিন শর্তের বেড়াজালে ফেলে অবৈধ হতে অনেকটা বাধ্য করেছে টোরি সরকার।

২০১০ সালে কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস) উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ঘন ঘন ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ার দায়ও কনজারভেটিভ পার্টির উপর দিয়েছে সাধারণ মানুষ।

সর্বশেষ পররাষ্ট্রনীতিতে মার্কিন নেতৃত্বের অনুসরণে সুনাকের নেতৃত্বাধীন টোরি সরকার ইউক্রেনকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হিংস্রতায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে ব্যর্থ হয়েছে কনজারভেটিভ সরকার। এই পদক্ষেপগুলো অনেক ভোটারকে দলটি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল, যার প্রমাণ নির্বাচনের ফলাফলে উঠে এসেছে। সূত্র: বিবিসি

বিডি প্রতিদিন/একেএ



এই পাতার আরো খবর