ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, রাফার পূর্বাঞ্চলে তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সৈন্য ও সামরিক যানবাহনে গোলাবর্ষণ করেছে। একই দিনে, গাজার নেটজারিম করিডোরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ওপরও হামলা চালানো হয়।
নেটজারিম করিডোর, যা একটি ইহুদি বসতির নামে নামকরণ করা হয়েছে। ২০০৫ সালে গাজা অঞ্চলকে বিভক্ত করার জন্য এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় চারজন সেনা আহত হয়েছেন। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলিতে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে কিরিয়াত শমোনাতে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপ করেছে।
গাজার খান ইউনিসের আল-মাওয়াসিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০০ তে পৌঁছেছে।
সৌদি আরব ইসরায়েলের এই বর্বর হামলার নিন্দা জানিয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষ এবং উত্তেজনা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ এবং জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে যাতে নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষা করা যায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক কোনো উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখছে না।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল