ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

উপকূলে চীনের বিশাল উপকূলরক্ষা জাহাজ মোতায়েন, সতর্ক অবস্থানে ফিলিপাইন
অনলাইন ডেস্ক
চীন উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিশাল জাহাজ ‘সিসিজি ৫৯০১’ নোঙর করেছে

ফিলিপাইনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীন উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিশাল জাহাজ ‘সিসিজি ৫৯০১’ নোঙর করেছে। এটা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের সাবিনা শোলের কাছে জাহাজটি অবস্থান করছে। ফিলিপাইনের উপকূলরক্ষী বাহিনী এটা নিয়ে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। 

চীনের উপকূলরক্ষী বাহিনীর ‘সিসিজি ৫৯০১’ আকারে অন্যান্য দেশের উপকূলরক্ষী জাহাজের চেয়ে অনেক বড়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম উপকূলরক্ষা জাহাজ এবং আমেরিকার অনেক নৌবাহিনীর জাহাজের চেয়েও বিশাল। ৫৪১ ফুট লম্বা এবং ১ কোটি ২০ লক্ষ কেজি স্থানচ্যুতির এই জাহাজটি সামরিক শক্তির প্রতীক।

ফিলিপাইনের উপকূলরক্ষী বাহিনী চীনের এই জাহাজটিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। দক্ষিণ চীন সাগরের এই বিতর্কিত এলাকায় চীনের উপস্থিতি ফিলিপাইনের জন্য একটি বড় হুমকি। চীন নিজেদের সামুদ্রিক এলাকা হিসেবে দাবি করলেও ফিলিপাইন এটি তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বলে দাবি করে।

চীনের এই আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ফিলিপাইন এটিকে চীনের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।

গত ১৭ জুন দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত সেকেন্ড থমাস শোলে সংঘর্ষে ফিলিপাইনের নৌবাহিনী কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছিল। চীনের উপকূলরক্ষী বাহিনী বারবার ফিলিপাইনের নৌবাহিনীকে বাধা দিয়েছে।

চীনের ‘সিসিজি ৫৯০১’ জাহাজটি আক্রমণাত্মক সক্ষমতাসম্পন্ন। এতে দু’টি ৭৬.২ মিলিমিটারের বন্দুক বসানো রয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।

আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল মনে করছে, চীন ছোট প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভয় দেখিয়ে তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছে। এছাড়া, সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শন করে দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধ বাধানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আসন্ন যুদ্ধের কথা ভেবে চীনের অনেক বিত্তশালী ব্যবসায়ী দেশ ত্যাগ করছেন এবং তাদের সম্পত্তি গুটিয়ে নিচ্ছেন। সূত্র : আনন্দবাজার

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর