ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চীন-আমেরিকা যুদ্ধ বাধলে কে এগিয়ে থাকবে?
অনলাইন ডেস্ক
চীন এবং আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ বাধলে তা একপ্রকার বিশ্বযুদ্ধের সমতুল্য হবে

চীন এবং আমেরিকা, বিশ্বের দুই মহাশক্তিধর দেশ, যদি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তাহলে ফলাফল কী হবে? সাধারণত যুদ্ধ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ঘটে, তবে এই দুই দেশ একে অপরের প্রতিবেশী নয়। এমন পরিস্থিতিতে, যুদ্ধের স্থান এবং ফলাফল সম্পর্কে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন এবং আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ বাধলে তা একপ্রকার বিশ্বযুদ্ধের সমতুল্য হবে। আসুন, দেখে নেওয়া যাক এই দুই দেশের সামরিক শক্তির তুলনা।

আমেরিকার জিডিপি ২৫ লক্ষ কোটি ডলার যেখানে চীনের জিডিপি ১৮ লক্ষ কোটি ডলার। অর্থনৈতিক শক্তি সামরিক ব্যয়ের ওপর প্রভাব ফেলে। আমেরিকা প্রতি বছর সামরিক খাতে প্রায় ৮৭৬০০ কোটি ডলার ব্যয় করে, যা বিশ্বের সামরিক খরচের ৪০ শতাংশ। অপরদিকে, চীন সামরিক ক্ষেত্রে গড়ে ২৯১০০ কোটি ডলার ব্যয় করে, যা আমেরিকার এক তৃতীয়াংশ।

সংখ্যার দিক থেকে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ২০ লক্ষ সক্রিয় সৈন্য নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনী। আমেরিকার সামরিক বাহিনীতে মোট ১৩ লক্ষ সক্রিয় সৈন্য রয়েছে। যদিও সেনার সংখ্যায় চীন এগিয়ে, ট্যাঙ্কের দিক থেকে উভয় দেশের মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। চীনের ৫০০০ ট্যাঙ্কের বিপরীতে আমেরিকার রয়েছে ৪৬০০টি ট্যাঙ্ক।

যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারের সংখ্যার নিরিখে আমেরিকা অনেকটাই এগিয়ে। আমেরিকার কাছে ১৮০০টি যুদ্ধবিমান এবং ৫৭০০টি হেলিকপ্টার রয়েছে, যেখানে চীনের হাতে রয়েছে ১২০০টি যুদ্ধবিমান এবং ৯১৩টি হেলিকপ্টার।

ডুবোজাহাজ এবং যুদ্ধজাহাজের ক্ষেত্রে, উভয় দেশের সংখ্যার মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। পরমাণু অস্ত্রের নিরিখে আমেরিকার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি রয়েছে; আমেরিকার ৫২২৪টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের বিপরীতে চীনের রয়েছে মাত্র ৪১০টি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের গোপন অস্ত্র হচ্ছে সাইবার হামলা। যদি কখনো তাইওয়ান নিয়ে সংঘাত হয়, চীনের পক্ষ থেকে সাইবার হামলার সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে, আমেরিকার গোপন অস্ত্র হচ্ছে ডলার এবং তাদের সামরিক জোট ন্যাটো।

এই দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে কে জিতবে তা বলা কঠিন, তবে এতে যে বিশাল মাত্রার সংঘর্ষ হবে, তা নিশ্চিত।



এই পাতার আরো খবর