ইসরায়েলের একটি যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এতে যুদ্ধবিমানটি পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, গোষ্ঠীটির বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো লেবাননের আকাশসীমার উপর ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইসরায়েলের অধিকৃত গোলান মালভূমিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১২ শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা তৈরি হয়।
এই আশঙ্কার মধ্যেই দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের সঙ্গে যখন তাদের যুদ্ধ শুরু হয় তখন থেকে প্রায়ই লেবাননের ভেতর ইসরায়েলি বিমান গিয়ে বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে আসছিল। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এতে বিমানটি পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
গোলান মালভূমিতে ১২ শিশুর মৃত্যুর পর হিজবুল্লাহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে ইসরায়েল।
এদিকে, হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হুমকিকে তারা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। যদি ইসরায়েলিরা লেবাননে বড় কোনও হামলা চালায় তাহলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিদেশিদের পক্ষ থেকে তাদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েল হামলা চালালেও তারা যেন কোনও প্রতিশোধ না নেয়। কিন্তু হামলা হলে অবশ্যই পাল্টা হামলা চালানো হবে। যদিও এটির পরিধি কম হতে পারে।
তিনি বলেছেন, “আগ্রাসনের জবাবের পরিধি ও বিস্তৃতি ঠিক করবেন প্রতিরোধ বাহিনীর নেতৃবৃন্দ। বিদেশি দূতরা বলছেন ইসরায়েল হামলা চালালে আমরা যেন প্রতিশোধ না নেই, যেন যুদ্ধ ছড়িয়ে না পড়ে। কিন্তু আমরা জবাব দেব।”
এই নেতা আরও হুমকি দিয়েছেন, যদি ইসরায়েলি সেনারা লেবাননে স্থল হামলা চালায় তাহলে হিজবুল্লাহও দখলদার ইসরায়েলে স্থল হামলা চালাবে।
তিনি বলেছেন, “আমরা ইসরায়েলের কাছ থেকে কোনও স্থল হামলার আশঙ্কা করছি না। কিন্তু তারা যদি স্থল হামলা চালায় তাহলে আমরা প্রস্তুত। যদি তারা লেবাননে প্রবেশ করে তাহলে আমরা গ্যালিলিতে (ইসরায়েলি সীমান্তবর্তী অঞ্চল) প্রবেশ করব।” সূত্র: রয়টার্স, টাইমস অব ইসরায়েল, আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ