ঢাকা, শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শেষ যাত্রায় সমাপ্ত হল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনযাত্রা
দীপক দেবনাথ, কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নেমেছিল। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার ৫৯, পাম এভিনিউ এর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮০ বছর বয়সী এই সিনিয়র সিপিআইএম নেতা। এরপর তার মরদেহ রাখা হয় কলকাতার তপসিয়ায় অবস্থিত হিমঘর পিস ওয়ার্ল্ডে।

আজ শুক্রবার সকালে সেখান থেকে তার মরদেহবাহী গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায়। সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জি, রাজ্যের মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষসহ বিভিন্ন দলের বিধায়ক, সাংসদ, শাসক দলের মন্ত্রীরা। 

বিধানসভা থেকে লাল পতাকায় মোড়া সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর মরদেহ নিয়ে আসে সিপিআইএমের রাজ্য সদর দপ্তর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম থেকে শুরু করে রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাত, সাবেক সিপিআইএম সাংসদ সুজন চক্রবর্তী, সিপিআইএমের সাবেক সর্বভারতীয় সম্পাদক প্রকাশ কারাত সিপিআইএম নেতা ডি রাজা, বিজেপি নেতা তাপস রায়, রাজ্যের মন্ত্রী ও গায়ক বাবুল সুপ্রিয় সকলেই তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আলিমুদ্দিনের বাইরে হাজির ছিলেন অসংখ্য দলীয় কর্মী-সমর্থক, সাধারণ মানুষ। 

কারো হাতে দলীয় লাল পতাকা, কারো হাতে লাল গোলাপ, আবার কেউবা তাদের প্রিয় মানুষ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছবি হাতে নিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ অপেক্ষা করেন। সকলেরই উদ্দেশ্য একবার বুদ্ধদেবকে কাছ থেকে দেখা এবং শেষ শ্রদ্ধা জানানো। তবে সবাই যে সফল হয়েছেন, তা নয়। অনেককে দেখা গেছে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে। 

বিকালে লাল পতাকায় মোড়া বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নিথর দেহ বহনকারী গাড়ি আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে ডিওয়াইএফআই'এর রাজ্য দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও অগণিত মানুষের ভিড়। দশ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগলো প্রায় এক ঘণ্টা। চারিদিকে কেবল কালো মাথা। 

শেষে এদিন বিকেলে তার শববাহী গাড়ি পৌঁছায় কলকাতার নীল রতন সরকার হাসপাতালে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহারের জন্য ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তার দেহ দান করা হয়। 

এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শোক যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার ছায়াসঙ্গী হিসাবে ছিলেন তার সহধর্মিনী মীরা ভট্টাচার্য ও তাদের কন্যা সন্তান সচেতন ভট্টাচার্য। 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর