ঢাকা, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বানর ছাড়াও যেসব প্রাণী থেকে ছড়ায় মাঙ্কিপক্স
অনলাইন ডেস্ক

মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও এই সংক্রামক রোগ নিয়ে বেশ সতর্ক অবস্থানে। প্রথম এই রোগের খোঁজ মিলেছিল আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে। 

এরপর একই মহাদেশের বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, কেনিয়া হয়ে এই রোগ ইউরোপের সুইডেনেও ছড়িয়ে পড়ে। পাওয়া গেছে এশিয়ার দেশ পাকিস্তানেও। 

সংক্রমণের মাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ২০২২ সালের পর মাঙ্কিপক্স নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ডব্লিউএইচও এই সতর্কতা জারি করল।

মাঙ্কিপক্স নামটা শুনে বানরের কথা মনে হলেও ভাইরাসটি আসলে সংক্রমিত হয় ইঁদুর, বন্য কুকুর, কাঠবিড়ালি, বানর ও খরগোশের শরীর থেকে। সর্বপ্রথম এটি একটি বানরের শরীরে আবিষ্কার হয় বলে এমন নামকরণ। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। ত্বকের ফোসকা সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা দেওয়ার এক থেকে চার দিন আগে থেকেই অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে এটির প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবে অন্তত ৪৫০ জন মারা গেছেন।

মাঙ্কিপক্স এখন মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগের একটি নতুন ধরন যেভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, সেই বিষয়ে এবং এর উচ্চ মৃত্যুহার নিয়ে বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, আফ্রিকা ও এর বাইরের দেশগুলোতে এমপক্স আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ‘খুবই উদ্বেগজনক’।

এ রোগের উপসর্গ ফ্লুর মতো। এতে ত্বকের ক্ষত তৈরি হয় এবং তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। আক্রান্ত ১০০ জনের মধ্যে মারা যেতে পারেন চারজন।

এমপক্সের দুটি প্রধান ধরন ক্লেড ১ ও ক্লেড ২। ইতোপূর্বে ২০২২ সালে এমপক্স নিয়ে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল স্বাস্থ্য সংস্থা। ক্লেড ২ ধরনের তুলনামূলক মৃদু সংক্রমণে জারি করা হয়েছিল এ জরুরি অবস্থা। তবে এখন আরও বেশি প্রাণঘাতী ক্লেড ১-এর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। ইতোপূর্বে এ ধরনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ১০ শতাংশ পর্যন্ত। এখন মৃত্যুহারও বাড়ছে।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর