ঢাকা, রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলোতে কর্মবিরতি অব্যাহত
অনলাইন ডেস্ক

ভারতের আর জি কর হাসপাতালের এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলো। সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে দিল্লিসহ অন্যান্য রাজ্যের হাসপাতালগুলো কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও পশ্চিমবঙ্গের আন্দোলনরত চিকিৎসকরা তা অব্যাহত রেখেছেন।  

 বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্ট ওই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে। আদালত পুলিশকে ভর্ৎসনা করে ত্রুটিপূর্ণ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং এফআইআর দাখিলের জন্য। সিবিআইকে মামলার তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আদালত পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে ৫ সেপ্টেম্বর।  

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দিল্লির এইমসসহ বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতাল কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও, পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের সর্বোচ্চ সংস্থা জেনারেল বডির (জিবি) এক সভায় ঘোষণা করা হয়েছে, ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।  

সিবিআই এখনো মামলার মূল হোতাদের শনাক্ত করতে পারেনি। এটা আন্দোলনকারীদের মধ্যে আরও হতাশা সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে সিবিআই ছয়জন সন্দেহভাজনকে পলিগ্রাফ পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করেছে। যাদের মধ্যে রয়েছে হাসপাতালের সদ্য পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষসহ অন্যান্য মেডিকেল শিক্ষার্থী ও তাদের আত্মীয়।  

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও এখনও এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি, তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন এবং ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

অন্যদিকে, মমতার ভাতিজা ও সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র একবার কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিতে বলেছেন। পরে তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছেন এবং বলেছেন, এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত নয়।

এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর জি কর হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যেখানে ১৫০ জন সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। 

গত ৯ আগস্ট ভোরে আর জি কর হাসপাতালের চারতলায় এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়, যার পর থেকেই চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি শুরু হয়। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে সিবিআইকে দেয়, এবং ১৪ আগস্ট থেকে সিবিআই তদন্ত শুরু করে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর