মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। একই সঙ্গে তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। শুক্রবার তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ৭০ বছর বয়সী কেনেডি জুনিয়র যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কেনেডি পরিবারের সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তার বাবা ছিলেন মার্কিন সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডি এবং চাচা ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি।
শুক্রবার অ্যারিজোনার ফিনিক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন কেনেডি জুনিয়র। তিনি বলেন, “দলীয় নীতিমালাই তাকে দল ছাড়তে এবং ট্রাম্পকে সমর্থন জানাতে বাধ্য করেছে।”
এর কয়েক ঘণ্টা পরই অ্যারিজোনায় ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে যোগ দেন কেনেডি জুনিয়র।
এ ঘটনাকে ‘অভূতপূর্ব’ ও ‘বুদ্ধিমত্তা’র কাজ বলে কেনেডি জুনিয়রকে গ্লেনডেলের সমাবেশ মঞ্চে স্বাগত জানান ট্রাম্প। “তার সমর্থন লাখ লাখ আমেরিকানকে অনুপ্রাণিত করবে এবং এই দেশে দীর্ঘকাল ধরে উপেক্ষা করা হয়েছে- এমন সমস্যাগুলোকে সামনে আনবে,” যোগ করেন ট্রাম্প।
কেনেডি জুনিয়রকে স্বাগত জানানোর আগে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ১৯৬৩ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত সব নথি প্রকাশ করবেন।
তবে ট্রাম্পকে সমর্থন জানানোয় ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছে কেনেডি জুনিয়রের বোন কেরি কেনেডি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, “ট্রাম্পের প্রতি তার (কেনেডি জুনিয়র) সমর্থন আমাদের বাবা ও পরিবারের আদর্শের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। এটি একটি দুঃখজনক গল্পের একটি দুঃখজনক পরিসমাপ্তি।”
তবে স্বামীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন কেনেডি জুনিয়রের স্ত্রী এইচবিও’র সাবেক তারকা চেরিল হাইন্স। তবে ট্রাম্পকে সমর্থনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ