ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা ব্যর্থ, কোনো পক্ষই একমত নয়
অনলাইন ডেস্ক

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও হতাশার মুখে পড়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রবিবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত আলোচনাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। হামাস ও ইসরায়েল—কোনো পক্ষই মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবিত সমঝোতা শর্তে সম্মতি দেয়নি। ফলে গাজা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে নেওয়া সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত উদ্যোগ নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।

মিসরের দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান গাজা যুদ্ধের অবসানে মিসরের কর্মকর্তারা নতুন কোনো অগ্রগতি করতে পারেননি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কায়রোর আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সব পক্ষ একটি চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নযোগ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আন্তরিকভাবে আগ্রহী।’

ওই মার্কিন কর্মকর্তা আরও জানান, এই যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় যারা কাজ করছেন, তারা ভবিষ্যতেও কাজ চালিয়ে যাবেন। যদিও মিসরের কর্মকর্তারা কিছুটা হতাশ, তবুও আলোচনা এখনো চলছে এবং কায়রোতে মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা অবস্থান করছেন।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে, যার ফলে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। কানাডার হ্যালিফ্যাক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার একসঙ্গে কাজ করছে। ইসরায়েলের প্রতিনিধিরাও এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।

তবে আলোচনা চললেও কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। মিসরের সূত্রগুলো জানায়, ফিলাডেলফি ও নেটজারিম করিডরে ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন বিকল্প তুলে ধরা হলেও কোনো পক্ষই এতে একমত হতে পারেনি। 

হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলের আপত্তির কারণে আলোচনা আটকে গেছে। হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল পূর্ব প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে এবং করিডর থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে।

হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইজ্জত আল রশিদ বলেন, হামাস স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো সমঝোতায় রাজি হবে না। গতকাল হামাসের একটি প্রতিনিধিদল কায়রো ছেড়ে চলে গেছে, যা আলোচনা ব্যর্থতারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর