বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আরও ছয় জিম্মিকে মৃত উদ্ধারের পর নতুন করে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
ইসরায়েলি বিক্ষোভকারীদের দাবি, এখনই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে অবশিষ্ট জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হবে। একই দাবিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশটির প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রবিবার রাতে ইসরায়েলি বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। ১১ মাস আগে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে যতগুলো বৃহৎ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে, তার মধ্যে রবিবারের বিক্ষোভ অন্যতম।
এসময় বিক্ষোভকারীরা তেল আবিবের রাস্তাগুলো অবরোধ করেন এবং পশ্চিম জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘এখন! এখন!’ স্লোগান দিয়ে অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দাবি জানান।
গাজায় জিম্মি ইসরায়েলিদের পরিবারগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’ এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধ থামাতে এবং তাদের প্রিয়জনদের ঘরে ফিরিয়ে আনার চুক্তি নিশ্চিত করতে নেতানিয়াহুর ‘ব্যর্থতার ফল’ হলো এই ছয় জিম্মির মৃত্যু।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির জন্য সরকারকে চাপ দিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইসরায়েলের বৃহত্তম শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন হিস্টাড্রুত। গত ৭ অক্টোবরের পর এই প্রথমবার এ ধরনের পদক্ষেপ নিল তারা।
ইউনিয়ন বলেছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। এটি ইসরায়েলের প্রধান বিমান পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকলে দেশটির ব্যাংকিং এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ অর্থনীতির সব প্রধান খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হিস্টাড্রুট প্রধান আর্নন বার-ডেভিড বলেছেন, একটি (যুদ্ধবিরতি) চুক্তি অন্য যেকোনও কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/একেএ