ঢাকা, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

৯০ শতাংশ মতৈক্যে ইসরায়েল-হামাস, এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা
অনলাইন ডেস্ক

নভেম্বরের শেষ দিকে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির পর থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কাতার, মিসর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আলোচনা চলছে। তবে এখনো দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ণ সমঝোতা হয়নি। তবুও যুক্তরাষ্ট্র আজ কিছু ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, আলোচনা ৯০ শতাংশ সফল হয়েছে এবং এখন শুধু শেষ কিছু বিষয়ে একমত হওয়া বাকি।

ব্লিঙ্কেন আরও জানান, 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব এখন ইসরায়েল ও হামাসের হাতে। যুদ্ধবিরতির পূর্ণ চুক্তি সম্পন্ন করতে হলে তাদের নিজেদের মধ্যে মতৈক্যে আসতে হবে।'

তবে চুক্তির যে ১০ শতাংশ বিষয় নিয়ে এখনো মতবিরোধ রয়েছে, তার মধ্যে ফিলাডেলফি করিডোর অন্যতম। এটি গাজা উপত্যকা ও মিসরের সীমান্তের একটি সংযোগস্থল। এছাড়াও ইসরায়েলের বন্দিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে।

ব্লিঙ্কেন আশা প্রকাশ করেছেন যে, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় এই বিষয়গুলো সমাধান করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের সাথে আলোচনা করছি এবং আশা করি হামাসও এই প্রস্তাবনা মেনে নেবে।’

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এখনো চুক্তির পর্যায় আসেনি, তবে আলোচনা চলছে।

ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের কারণে এখন পর্যন্ত বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার দুইশ জনের মৃত্যু হয় এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়। পাল্টা ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে হামাসের দাবি।

হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, জার্মানি ও আরও কয়েকটি দেশ।

এদিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন এবং শিগগিরই ইসরায়েলে পৌঁছাবেন। তিনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বেয়ারবক এছাড়াও অধিকৃত পশ্চিম তীরেও যাবেন।

মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে তিনি সৌদি আরবেও গেছেন। সেখানে তিনি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে 'টু স্টেট' সমাধানের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্ডানে গিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য বাড়তি ৫ কোটি ইউরো দেওয়ার ঘোষণা করেছেন, পাশাপাশি জর্ডানকে আরও ১ কোটি ২৭ লাখ ইউরো সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর