ঢাকা, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আয়াচি জামেল আবারও গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক

তিউনিসিয়ার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী আয়াচি জামেলকে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পুনরায় গ্রেফতার করা হয়েছে।  শুক্রবার সকালে তাকে পুনরায় গ্রেফতারের কথা জানান তার আইনজীবী আব্দেসাত্তার মাসুদি। মাত্র একদিন আগেই রাজধানী তিউনিসের কাছে মানৌবার একটি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।

আসন্ন নির্বাচনে আয়াচি জামেল বর্তমান প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য জওহেইর মাগাজাউইর পাশাপাশি তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। 

আয়াচি জামেলকে ব্যালটে স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে প্রথমে গত সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। চার দিনের কারাবাস শেষে তিনি জামিনে মুক্তি পেলেও শুক্রবার সকালে আবারও একই অভিযোগে আটক হন। জামেলকে পুনরায় আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তার আইনজীবী।

আয়াচি জামেল তিউনিসিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য এবং একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আজিমন নামে উদারপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে ছিলেন। তবে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন।

তিউনিসিয়ার নির্বাচন কমিশন আয়াচি জামেলের প্রার্থিতা অনুমোদন করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার প্রথম গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। নির্বাচনী প্রচারণার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জামেলের পুনরায় গ্রেফতার হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কতটা নিশ্চিত। 

এদিকে, তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক পরিবেশ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নজরে এসেছে দেশটির গণতন্ত্রের ক্রমবর্ধমান সংকট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, জামেলের গ্রেফতার ও অন্য তিন প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার ঘটনা গণতন্ত্রকে সংকুচিত করছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যমতে, নির্বাচনের দৌড়ে থাকা অন্তত আটজন প্রার্থীকে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আটক করা হয়েছে বা কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার আশঙ্কা তৈরি করেছে।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালে একচেটিয়াভাবে দেশের ক্ষমতা দখল করেন এবং ডিক্রির মাধ্যমে শাসন শুরু করেন। এ বছরের নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রার্থীদের প্রতি যে নির্যাতন চলছে, তা তিউনিসিয়ার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর