ঢাকা, রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

প্রথম বিতর্কে তিক্ত লড়াই : সঞ্চালকদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রিপাবলিকানদের
অনলাইন ডেস্ক
কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথমবারের মতো বিতর্কের মঞ্চে মুখোমুখি হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্কের পর রিপাবলিকান শিবির থেকে দাবি উঠেছে যে সঞ্চালকরা কমলার পক্ষ নিয়ে বিতর্কটি পরিচালনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, ট্রাম্পকে ঘায়েল করার জন্য সঞ্চালকরা সরাসরি কমলা হ্যারিসকে সাহায্য করেছেন।

এই বিতর্কটি মঙ্গলবার (মার্কিন স্থানীয় সময়) পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়, যা ৯০ মিনিট ধরে চলে। এবিসি নিউজের আয়োজনে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন ডেভিড মুইর এবং লিনসে ডেভিস। এই বিতর্কের মঞ্চে অর্থনীতি, অভিবাসন, এবং গর্ভপাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

 বিতর্কে সংঘর্ষের ঝাঁঝ রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন সরাসরি অভিযোগ করেছেন, সঞ্চালকরা কমলার পক্ষ নিয়েছেন। তিনি বলেন, এই বিতর্ক তিন বনাম এক ছিল, যেখানে সঞ্চালকরা এবং কমলা হ্যারিস একজোট হয়ে ট্রাম্পের বিপক্ষে লড়েছেন। কটন আরও অভিযোগ করেন যে, কমলা হ্যারিস গর্ভপাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর স্পষ্ট অবস্থান নিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, যা তার কট্টর বামপন্থী অবস্থানকেই ইঙ্গিত করে।

 তীব্র আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণ কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্কের মঞ্চে একে অপরকে আক্রমণ করে একাধিকবার মিথ্যাবাদী বলে আখ্যা দেন। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন এবং নিজেদের নীতির পক্ষে জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করেন। অর্থনীতি, অভিবাসন, এবং নারীদের অধিকার বিষয়ে বিতর্কের ঝাঁঝ তীব্র ছিল। উভয় পক্ষই তাদের অবস্থান নিয়ে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন, যা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।  

জো বাইডেনের সরে দাঁড়ানো এবং নতুন নেতৃত্ব   মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে লড়তে ইচ্ছুক ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু বিতর্ক এবং স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গত জুলাই মাসে বাইডেন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এরপরই তিনি ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানান। কমলা হ্যারিসের মনোনয়ন গ্রহণের পর থেকেই তার এবং ট্রাম্পের মধ্যে এই বিতর্কের উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।

আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনঃপ্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং কমলা হ্যারিসের প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিযোগিতা নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর