হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য নতুন সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি কিয়েভের জন্য বাড়তি ২৪০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা মঞ্জুর করেন এবং আরও ৫৫০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
তবে খবর বলছে, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ভবিষ্যত মার্কিন প্রশাসন কার হাতে যাবে, তার ওপর ইউক্রেনের সহায়তার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জয়ী হলে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা অব্যাহত থাকবে, এমন আশ্বাস পেয়েছেন জেলেনস্কি। অন্যদিকে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে এলে ইউক্রেনের সহায়তায় ধাক্কা লাগার আশঙ্কা রয়েছে। ট্রাম্প পূর্বে এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড রাশিয়ার অধীনে রেখে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেন।
কমলা হ্যারিস এই প্রস্তাবকে বিপজ্জনক এবং গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকেও তিনি ট্রাম্পের এমন অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেন। এর আগে ট্রাম্প এক নির্বাচনী সভায় জেলেনস্কির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোটি কোটি ডলার দিয়ে এমন এক নেতাকে সাহায্য করছে, যিনি কোনো বোঝাপড়া করতে প্রস্তুত নন।
বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন এবং সহযোগিতা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আগামী মাসে জার্মানিতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ৫০টিরও বেশি দেশের সমর্থনের মাধ্যমে ন্যাটোর নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে রাশিয়ার গভীরে হামলার বিষয়ে বাইডেন জেলেনস্কির অনুরোধ মেনে নেবেন কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল