সুদানের রাজধানী খার্তুমে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে। এই হামলায় বাড়িটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, সুদানের সেনাবাহিনী এর সঙ্গে জড়িত। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা বলছে, এই ঘটনার সঙ্গে বিদ্রোহী আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফ জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে আরএসএফকে আমিরাত মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে সেনা বাহিনী।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের তরফে অভিযোগ করা হয়, সুদানের রাজধানীতে তাদের রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে বোমা মারা হয়েছে। এর ফলে বাড়িটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে রাষ্ট্রদূত অবশ্য সুরক্ষিত আছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মাস ধরে সুদানে গৃহযুদ্ধ চলছে। সেখানে সেনা বাহিনীরই একটি অংশ আরএসএফ সরকার এবং সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই লক্ষাধিক মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন। আশপাশের দেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা। পরিস্থিতি এমনই যে যে কোনো মুহূর্তে সুদানে বড় ধরনের দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।
সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি:
গত জানুয়ারি মাসে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, আমিরাত যে আরএসএফ-কে সাহায্য করছে এমন প্রমাণ তাদের হাতে আছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, চাদ সীমান্ত দিয়ে আরএসএফ-এর কাছে অস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে আমিরাত।
সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এদিন সুদানের সেনা একটি বিবৃতি দিয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, আরএসএফ-কে মদত দিয়েছে আমিরাত। আজ সেই আরএসএফ-ই তাদের রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সেনা কখনোই একাজ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।
আমিরাত অবশ্য তাদের বিবৃতিতে এই ঘটনার জন্য সরাসরি সুদানের সেনা বাহিনীকেই দায়ী করেছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম