ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সফল সফর, চিন্তায় নয়াদিল্লি: আনন্দবাজার
অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র সফর সফলভাবেই শেষ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অনেক হাইপ্রোফাইল বিশ্ব নেতার সাথে আন্তরিক বৈঠক করেছেন তিনি। আর এই বিষয়টিই দিল্লির আশঙ্কা বাড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে নিজে বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, পররাষ্টমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রধান এবং এডিবি-র শীর্ষকর্তার সঙ্গেও আলাদা করে আলোচনা হয়েছে তার। এই সব আলোচনার মূল সূর একটাই। শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের সরকারি নেতৃত্বের প্রতি পশ্চিমি দুনিয়া এবং আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা থাকবে ভবিষ্যতে। যে সহায়তার কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক ভূমিকা রয়েছে।

ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের আলোচনার তালিকা প্রসারিত হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, সার্ককে জাগিয়ে তোলা ও বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে কথা হয় ইউনূস-শরিফের। ভারতীয় কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত ১০০ দিনে কার্য তালিকায় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ না থাকলেও এই মুহূর্তে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কের কৌশল রচনাই নরেন্দ্র মোদি সরকারকে অগ্রাধিকারের মধ্যে রাখতে হবে।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপাতত দু’টি বিষয় স্পষ্ট। এক, এই অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক বৈধতা পেয়ে গিয়েছে সে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্যে। দুই, ঢাকার সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ক আগামী দিনে এগোলে তা নিয়ন্ত্রণ করার মতো কূটনৈতিক অস্ত্র এখনও ভারতের হাতে নেই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছেন ইউনূস। এই বার্তাই তিনি দিতে চেয়েছেন, বাংলাদেশের জাতিসত্তার স্বকীয়তাতেই তিনি বিশ্বাসী।

জাতিসংঘের এই সফরে মোদির সাথে ড. ইউনূসের কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি। যদিও নানা গণমাধ্যমে প্রথমদিকে একটি সাইডলাইন বৈঠকের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন, এখানেও কূটনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে ভারত। 

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর