নিউইয়র্কের ঈদ বাজারে ইমিটেশনের গহনা নারীদের দৃষ্টি কেড়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, দুবাই থেকে আমদানিকৃত ইমিটেশন সামগ্রী বাংলাদেশী নারীদের প্রধান পছন্দ। আর এ আগ্রহের প্রতি সম্মান জানিয়ে ব্যবসায়ীরাও মূল্যহ্রাস ঘটিয়েছেন ৫০% পর্যন্ত।
নিউইয়র্ক অঞ্চলের ৩ লক্ষাধিক বাংলাদেশীর কেনাকাটার প্রধান মার্কেট হচ্ছে জ্যাকসন হাইটস। এখানে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হচ্ছেন বাংলাদেশীরা। পাশাপাশি ভারতীয় এবং পাকিস্তানী দোকানও রয়েছে। ফলে ঈদ উপলক্ষে এসব দোকানে লেটেস্ট ডিজাইনের পোশাক, গয়নার ব্যাপক সমাহার ঘটেছে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য এসব দোকান। স্বদেশী আমেজে স্বদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দর কষাকষি করে পছন্দের কাপড় অথবা গয়না ক্রয়ের জন্যে দূরবর্তি রাজ্য থেকেও প্রবাসীরা আসছেন জ্যাকসন হাইটসে। তবে চলমান মন্দার কারণে স্বাধ অনুযায়ী কেনাকাটা করতে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে ৭৪ স্ট্রিটের স্মৃতি ফ্যাশনের মালিক মাহাবুর রহমান টুকু বার্তা সংস্থা এনাকে বলেন, বাস্তবতা অনুধান করে আমি আমার দুটি দোকানেই ৫০% ডিসকাউন্ট (মূল্যহ্রাস) দিয়েছি। আমি চাচ্ছি ঈদের আনন্দ যেন সকলেই উপভোগ করতে পারেন। দিল্লী, বম্বে, করাচি এবং ঢাকা থেকে লেটেস্ট ডিজাইনের শাড়ি, পোষাক, পাঞ্জাবী, গহনাপত্র এনেছি। ঈদের আগেই যদি বিক্রি করতে না পারি তাহলে অনেক অর্থ আটকে যাবে। সে জন্যে লাভের আশা একেবারেই ছেড়ে দিয়ে ৫০% ডিসকাউন্টে সবকিছু বিক্রি করছি। এর সুফলও দেখতে পাচ্ছি। ইমিটেশনের গহনার জন্যে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক তরুণী আসছেন।
একই এলাকায় লিপি ফ্যাশনের স্টোরেও ২০% থেকে ৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টের তথ্য জানালেন এর মালিক লিপি বেগম। লিপি বেগম বলেন, 'ঈদের আনন্দ সকলে ভাগাভাগী করতে পারলেই অধিক তৃপ্তি আসে। অর্থের কারণে কারো ঈদ ফ্যাকাশে হবে এটি আমার কাম্য নয়।'
জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ওজনপার্ক, ব্রুকলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড, ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার প্রভৃতি এলাকায় শতাধিক স্টোরে ঈদের কেনাকাটা চলছে।