ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় গোপন ক্যামেরা কেনার ধুম

হঠাৎ করেই দিল্লির পালিকা বাজারে গোপন ক্যামেরা বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। পড়বেই না কেন? দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে নতুন মুখ্যমন্ত্রী যে দুর্নীতিবাজদের তথ্য-প্রমাণ চেয়েছেন। প্রমাণসহ অভিযোগ করতে পারলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা। দেশপ্রেমিক জনতা এ সুযোগটাকে লুফে নিয়েছে। 

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই করার অঙ্গীকার করে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর দল আম আদমি পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই কেজরিওয়াল দিল্লির জনতাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। দুর্নীতিবাজদের হাতেনাতে ধরতে সরকারকে সহায়তা করতে হবে। তথ্যপ্রমাণসহ দুর্নীতিবাজদের ধরিয়ে দিতে পারলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা। এর পরই ভারতের দিল্লিতে পড়ে গেছে গোপন ক্যামেরা কেনার ধুম।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে নানা ধরনের গোপন ক্যামেরা পাওয়া যায়। অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মানের ওপর ভিত্তি করে এসব গোপন ক্যামেরার দাম ৪০০ থেকে ৩০ হাজার রুপি পর্যন্ত হয়। তবে ক্রেতারা কলম, বোতাম, চাবির রিং, পেন ড্রাইভ এমনকি রোদ চশমার ভেতর লুকানো গোপন ক্যামেরাই খুঁজছে বেশি। এগুলোর দামও মোটামুটি নাগালের ভেতর। ভারতীয় মুদ্রায় ৪০০ থেকে পাঁচ হাজার রুপির মধ্যে এসব ক্যামেরা কেনা যায়।

পালিকা বাজারের ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিক্রেতা শচীন দত্ত জানান, কিছুদিন আগে দিনে গড়ে ১৫ থেকে ২০টির মতো গোপন ক্যামেরা বিক্রি হতো। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর এখন দিনে প্রায় ৪০টির মতো গোপন ক্যামেরা বিক্রি হচ্ছে। ছেলে-বুড়ো সবাই ক্যামেরা কিনছেন।

তবে অনেকে আবার বেশি লাভের আশায় একগাদা ক্যামেরা মজুদ করে বিপাকে পড়েছেন। এমন এক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, তিনি ওই ঘোষণার পর বাড়তি মজুদের জন্য বেশি গোপন ক্যামেরার অর্ডার দিয়েছিলেন। কিন্তু বিক্রি সে তুলনায় কম হচ্ছে। তিনি ভেবেছিলেন গোপন ক্যামেরা বিক্রি নাটকীয়ভাবে আরও বেড়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। অনেকে গোপন ক্যামেরার বদলে মোবাইলের ক্যামেরা ব্যবহার করছেন। খবর: আইএএনএস'র।



এই পাতার আরো খবর