আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদির ভিসা বিতর্কে এবার নতুন মোড় দেখা দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের পর এবার বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার নাম যুক্ত হলো। এদিকে ললিত মোদির পাবলিক রিলেশনস টিমের পক্ষ থেকে তিন পাতার একটি নোট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে, ২০১১ সালে ললিতের ইংল্যান্ড যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদনে সমর্থন জানান বসুন্ধরা।
তাঁর নাম সামনে আনা যাবে না, এই শর্তে গোপন সাক্ষী হতে রাজি হন বিজেপি নেত্রী। যদিও ললিতের পাবলিক রিলেশনস টিম যে নোট সামনে এনেছে, তাতে বসুন্ধরার কোনো স্বাক্ষর নেই। কিন্তু তাতে অস্বস্তি কমছে না। যে নোট সামনে আনা হয়েছে, তাতে তারিখ হিসেবে ২০১১ সালের ১৮ আগস্টের উল্লেখ রয়েছে। এর প্রায় এক বছর আগে আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হন ললিত। তবে এখানেই শেষ হয়নি বিতর্ক।
বসুন্ধরা ২০০৩ সালে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও ললিতের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা সামনে এসেছে। অভিযোগ, ললিত মোদির স্ত্রী মিনালের চিকিৎসা পর্তুগালের যে হাসপাতালে করিয়েছিলেন, ২০১৪ সালে ওই হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে রাজস্থান সরকার। লিসবনে অবস্থিত স্যামপেলি মঁর ফাউন্ডেশন নামের ওই হাসপাতালকে রাজস্থান সরকার ৩৫ হাজার বর্গফুট জমি দিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বসুন্ধরা নিজে ওইসময় উপস্থিত ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে ললিত মোদির পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও, অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন বসুন্ধরা। জি নিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ জুন, ২০১৫/রোকেয়া।