ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সত্য প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর সাহায্য চিরন্তন
অনলাইন ডেস্ক

মহান আল্লাহ বলেন, ‘কিন্তু আমি সত্য দিয়ে আঘাত করি মিথ্যার ওপর, ফলে তা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং মিথ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তোমাদের জন্য দুর্ভোগ তোমরা যা বলছ তার জন্য। ’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ১৮)

তাফসির : আলোচ্য আয়াতে সত্য-মিথ্যার মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীতে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকবে। মানবজীবনে ভালো ও মন্দ উভয়টি রয়েছে।

জীবন কখনো কল্যাণে ভরপুর থাকবে। আবার কখনো ধৈর্য ধারণ করে মন্দের মধ্যেও নিজেকে সুসংহত রাখতে হবে। মহান আল্লাহ সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বদা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মিথ্যাকে মুছে দেন এবং নিজ বাণী দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন, তিনি অন্তরে যা আছে তা সম্পর্কে অবগত। ’ (সুরা শুরা, আয়াত : ২৪)

সত্যকে অনুসরণ-অনুকরণ করা মুমিনদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। জীবনে সত্যকে ধারণ করে তা প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট থাকবে তারা। পক্ষান্তরে যারা আল্লাহর নির্দেশনায় অবিশ্বাসীরা মিথ্যাকে অনুসরণ করে এবং তা বাস্তবায়ন করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তা (ভালো-মন্দের প্রতিদান) এ জন্য যে যারা কুফরি করে তারা মিথ্যার অনুসরণ করে এবং যারা ঈমান আনে তারা তাদের রবের পক্ষ থেকে প্রেরিত সত্যের অনুসরণ করে। ’ (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ৩)। বাহ্যিকভাবে কখনো কখনো মিথ্যার মোকাবেলায় সত্য নিতান্ত দুর্বল থাকে। কিন্তু প্রবল শক্তিমত্তার অধিকারী হলেও শেষ পরিণতিতে মিথ্যার বিনাশ সুনিশ্চিত। ইরশাদ হয়েছে, ‘তা এ জন্য যে তিনি সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেন, যদিও অপরাধীরা তা পছন্দ করে না। ’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ৮)

এ কারণে যুগে যুগে সত্যের বাহক নবী-রাসুলদের সঙ্গে মিথ্যাবাদীদের দ্বন্দ্ব ছিল। অবস্থার শুরুতে মিথ্যার ধারকদের দৌরাত্ম্য ও অহমিকা চরমে হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের পতন হয়েছে। পবিত্র কোরআনে নবী মুসা (আ.)-এর সঙ্গে বিশ্বজাহানের প্রতিপালক দাবি করা ফেরাউনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের কথা বর্ণিত হয়েছে। এদিকে বদর যুদ্ধে মহানবী (সা.) ও সাহাবিদের রণ-সরঞ্জাম ও প্রস্তুতি মিথ্যাবাদীদের সমানুপাতে ছিল না। কিন্তু মহান আল্লাহ সত্যকে বিজয়ী করেছেন এবং মিথ্যাকে পরাজিত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর বদর যুদ্ধে যখন তোমরা হীনবল ছিলে আল্লাহ তো তোমাদের সাহায্য করেছিলেন, সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় করো যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। ’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১২৩)

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন



এই পাতার আরো খবর