হজ নিবন্ধন বাতিল করেছেন ৫৬১ হজযাত্রী। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজ পরিচালকের কাছে পাঠানো এক চিঠি থেকে নিবন্ধন বাতিলের এ তথ্য জানা গেছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ পরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের হজে গমনেচ্ছু নিবন্ধিত সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনার পাঁচশতাধিক হজযাত্রী নানাবিধ সমস্যার কারণে হজে গমনে অপারগতা প্রকাশ করে নিবন্ধন বাতিল করে জমা করা অর্থ রিফান্ড করার জন্য আবেদন করেছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে তাদের নিবন্ধন বাতিলের আদেশ এরই মধ্যে জারি করা হয়েছে। কিন্তু নিবন্ধিত হজযাত্রীদের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হলেও বর্ণিত নিবন্ধন বাতিলকারী হজযাত্রীদের তথ্য নিবন্ধন সার্ভারে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
সেই কারণে নিবন্ধন বাতিলকারী এজেন্সির হজযাত্রীদের সংখ্যা নিবন্ধন সিস্টেমে পূর্বের সংখ্যাই প্রদর্শিত হচ্ছে; যা সৌদি আরবে এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর সংখ্যা প্রেরণের পূর্বেই সঠিক করা একান্ত প্রয়োজন। তাই নিবন্ধন বাতিল করা হজযাত্রীদের অনুমোদিত তালিকানুযায়ী ওই ব্যক্তিদের নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য আইটি প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশনের মাধ্যমে পিআরপি সিস্টেম থেকে বাতিল করে সিস্টেমে সর্বশেষ বিদ্যমান হালনাগাদ হজযাত্রীর সংখ্যাভিত্তিক এজেন্সির তালিকা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। চিঠির সঙ্গে ৫৬১ জনের হজের নিবন্ধন বাতিল করা আদেশের কপিও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আট দফা সময় বাড়ানোর পর সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিল হজের নিবন্ধনের সময় শেষ হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল