ঢাকা, শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পরকালে শাফাআত লাভের উপায়
অনলাইন ডেস্ক
প্রতীকী ছবি

মহান আল্লাহর কাছে শাফাআত (সুপারিশ) করা এবং তা গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য কিছু শর্ত আছে। নিম্নে তা নিয়ে আলোচনা করা হলো-

যার জন্য সুপারিশ করা হবে, তার ওপর আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকতে হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তারা শুধু তাদের জন্যই সুপারিশ করে, যাদের প্রতি তিনি (আল্লাহ) সন্তুষ্ট।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২৮)

এ আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, যাদের ব্যাপারে সুপারিশ আল্লাহ পছন্দ করবেন, তাদের ব্যাপারেই সুপারিশ করা যাবে। এবং এর জন্য অবশ্যই তাকে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী হতে হবে।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, একবার আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলো হে আল্লাহর রাসুল! কিয়ামতের দিন আপনার সুপারিশ লাভের ব্যাপারে কে সবচেয়ে বেশি সৌভাগ্যবান হবে? 

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, আবু হুরায়রা! আমি মনে করেছিলাম, এ বিষয়ে তোমার আগে আমাকে আর কেউ জিজ্ঞেস করবে না। কেননা আমি দেখেছি, হাদিসের প্রতি তোমার বিশেষ লোভ আছে। কিয়ামতের দিন আমার শাফাআত লাভে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান হবে ওই ব্যক্তি, যে একনিষ্ঠচিত্তে ‌‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ নেই) বলে। (বুখারি, হাদিস : ৯৯)

আল্লাহর অনুমতিক্রমেই সুপারিশ করা যাবে। মহান আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউ তাঁর কাছে সুপারিশ করার সুযোগ পাবে না। এমনকি কিয়ামতের দিন মহানবী (সা.) আল্লাহর অনুমতিপ্রাপ্ত হওয়ার পরই সুপারিশ করবেন। 

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কে আছে এমন, যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর (আল্লাহর) কাছে সুপারিশ করতে পারে?’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫৫)

সুপারিশকারী আল্লাহর প্রিয় হতে হবে : কোরআন-হাদিসের ভাষ্য দ্বারা বোঝা যায়, মহান আল্লাহ নবী-রাসুল ও তাঁর প্রিয় কিছু নেক বান্দাদের সুপারিশ করার সুযোগ দেবেন। যারা আল্লাহর ওপর ঈমান রাখে না কিংবা আল্লাহর প্রিয় নয়, তারা সুপারিশের সুযোগ পাবে না। 

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আকাশমণ্ডলীতে কত ফেরেশতা আছে তাদের কোনো সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না, যতক্ষণ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এবং যার প্রতি সন্তুষ্ট তাকে অনুমতি না দেন।’ (সুরা : নাজম, আয়াত : ২৬)

আবু দারদাহ (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে অভিসম্পাতকারীরা কিয়ামতের দিন সাক্ষী ও সুপারিশকারী হতে পারবে না। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫০৬)।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর