ঢাকা, রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জীবনের কঠিন সময়ে মুমিনের ৫ আমল
সাআদ তাশফিন

মহান আল্লাহ কখনো কখনো তাঁর বান্দাদের বিপদ-আপদের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন, তখন যারা মহান আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা রেখে তাঁর কাছে সাহায্য চায় এবং ধৈর্যের সঙ্গে বিপদ থেকে উত্তরণের চেষ্টা করে, তারা সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে। নিম্নে বিপদের সময় মুমিনের কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো—

১. অগাধ বিশ্বাস : মুমিন সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর আস্থা রাখে। আল্লাহর সব সিদ্ধান্তই মুমিন তার জন্য কল্যাণকর বলে বিবেচনা করে। তাই মুমিনের উচিত বিপদে বিচলিত না হয়ে মহান আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস রাখা।

এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়।  পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাব। এরাই তারা, যাদের প্রতি তাদের রবের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষিত হয়, আর তারাই সৎপথে পরিচালিত।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৫৬-১৫৭) ২. ধৈর্য ধারণ করা  : বিপদে ধৈর্য না হারিয়ে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে ঠাণ্ডা মাথায় তা থেকে উত্তরণের পথ বের করতে হবে।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সফলকাম বলেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আজ আমি তাদেরকে তাদের ধৈর্যের কারণে এমন প্রতিদান দিয়েছি যে তারাই সফল।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ১১১) ৩. তাওবা-ইস্তিগফার : অনেক সময় তাওবা-ইস্তিগফারের কারণে মহান আল্লাহ বিপদ তুলে নেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ এমন নন যে আপনি তাদের মধ্যে থাকবেন অথচ তিনি তাদের স্বস্তি দেবেন এবং আল্লাহ এমনও নন যে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে অথচ তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৩৩)

অর্থাৎ কোনো জাতির মধ্যে তাদের নবী উপস্থিত থাকলে যেমন মহান আল্লাহ আজাব দেন না, তেমনি কোনো জাতি যখন তাওবায় লিপ্ত হয়ে যায় তখন মহান আল্লাহ তাদের শাস্তি দেন না।

৪. তাকওয়া অবলম্বন করা : তাকওয়া মানুষকে যেকোনো পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেয়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য নিষ্কৃতির পথ তৈরি করে দেন।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ২)

৫. নিয়মিত দোয়া করা : যেকোনো বিপদে মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। তিনি তাঁর বান্দার ডাকে সাড়া দেন।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আমার বান্দাগণ যখন আমার সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করে, (তখন বলে দিন যে) নিশ্চয়ই আমি অতি কাছে। আহ্বানকারী যখন আমাকে আহ্বান করে আমি তার আহ্বানে সাড়া দিই। কাজেই তারাও আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমার প্রতি ঈমান আনুক, যাতে তারা সঠিক পথে চলতে পারে।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৬) মহান আল্লাহ সবাইকে দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তা দান করুন। আমিন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন



এই পাতার আরো খবর