ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আসমানি কিতাবগুলো অভিন্ন যেখানে
মুফতি আবদুল্লাহ নুর

মহান আল্লাহ মানুষের পাথেয় হিসেবে নবী-রাসুলদের কাছে আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। প্রধান চার আসমানি কিতাব হলো কোরআন, ইঞ্জিল, তাওরাত ও জাবুর। এ ছাড়া আল্লাহ কোনো কোনো নবী ও রাসুলকে সহিফা দান করেছেন। কোরআন সর্বশেষ আসমানি গ্রন্থ।

এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব আসমানি গ্রন্থ রহিত করা হয়েছে। কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহ দ্বিনি শিক্ষাকে পূর্ণতা দান করেছেন এবং পূর্ববর্তী আসমানি গ্রন্থের মৌলিক শিক্ষাগুলো কোরআনে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ফলে অন্য গ্রন্থগুলোর প্রয়োজনীয়তাও শেষ হয়েছে। কোরআনসহ সব আসমানি গ্রন্থ মৌলিক বৈশিষ্ট্যে এক ও অভিন্ন।

যেমন— ১. সব আসমানি গ্রন্থ আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত।

২. সব আসমানি গ্রন্থের ধারক নবী-রাসুল।

৩. আল্লাহর পক্ষ থেকে নবীদের কাছে কিতাব নিয়ে এসেছেন জিবরাইল (আ.)।

৪. আসমানি গ্রন্থের ব্যাপারে সব নবী অবিশ্বাসীদের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছেন।

৫. সব আসমানি গ্রন্থে এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন এবং তাঁর ইবাদত করার আহবান জানিয়েছেন।

পবিত্র কোরআনে আসমানি গ্রন্থগুলোর অভিন্ন দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি সত্যসহ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, যা তার পূর্বের কিতাবেবর সমর্থক। আর তিনি অবতীর্ণ করেছিলেন তাওরাত ও ইঞ্জিল, এর আগে তিনি মানবজাতির সৎপথ প্রদর্শনের জন্য; আর তিনি ফোরকান অবতীর্ণ করেছেন। যারা আল্লাহর নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করে তাদের জন্য কঠোর শাস্তি আছে।

আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, শাস্তিদাতা।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩-৪)

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন নুহকে, আর যা আমি ওহি করেছি তোমাকে এবং যার নির্দেশ করেছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে; এই বলে যে তোমরা দ্বিন প্রতিষ্ঠা কোরো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন 



এই পাতার আরো খবর