ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মমতাকে দেখতে এসে তোপের মুখে রাজ্যপাল
অনলাইন ডেস্ক
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (বাঁয়ে) ও হাসপাতালে তৃণমূল কর্মীদের ভিড়।

নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্যজুড়ে। বুধবার চোট পাওয়ার পরেই গ্রিন করিডোর তৈরি করে মমতাকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। 

সেখানে তাকে দেখতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। দলনেত্রী আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই একাধিক জেলায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান দলীয় কর্মীরা।

বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের রানিচকে একটি হরিনাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার মুখে মমতা পড়ে যান। মমতার অভিযোগ, তাকে চার-পাঁচজন ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর গ্রিন করিডর করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।

মমতাকে হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরপ নিগম-সহ স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তারা হাজির হন হাসপাতালে।

মুখ্যমন্ত্রীর জখম হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে তাকে দেখতে যান রাজ্যপালও। কিন্তু ততক্ষণে দলনেত্রীর ভর্তি হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতাল চত্বরে হাজির হয়েছেন বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। তারা রাজ্যপালকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাজভবন যাওয়ার সময়েও একই রকম ক্ষোভের মুখে পড়েন ধনখড়।

মমতাকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিমও। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ করেন, ‘বিজেপি খুব নিচু স্তরে চলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় যারা কটাক্ষ করছেন তারা অসভ্য।’

মমতার অভিযোগ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তার বক্তব্য, ‘আমরা বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিতে পারেন।

বুধবার সন্ধ্যায় দলনেত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া জলপাইগুড়িসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করা হয়।

সূত্র : আনন্দবাজার

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর