‘সিআরপিএফ ঘেরাও’ মন্তব্যের জেরেই চার যুবকের মৃত্যু, এমন অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন কোচবিহার জেলার বিজেপির সংঘ্যালঘু মোর্চার সভাপতি সিদ্দিক আলি মিয়াঁ। এমনকি দ্রুত মমতার গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
গত ৭ এপ্রিল শীতলকুচিতে নির্বাচনী জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। সেখানে নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অশান্তি করতে এলে একদল ওদের ঘিরে ফেলুন। আরেক দল ভোট দিতে যান। কারা এই কাজ করছে, তাদের নাম লিখে রাখুন।’
এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে যায় বিজেপি। পরে ১০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ যায় ৪ যুবকের। বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কমিশনের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রায় ৩০০ জন ঘিরে ফেলেছিল জওয়ানদের। তাদের সঙ্গে থাকা অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই কারণেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় বাহিনী।
এরপরই গোটা ঘটনার দায় চাপানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর ওপর। বিজেপির পক্ষে দাবি করা হয়, ‘সিআরপিএফ ঘেরাও’ মন্তব্যের কারণেই এই ঘটনা।
মুখ্যমন্ত্রীর উসকানিতেই শীতলকুচি কাণ্ড, এই অভিযোগ তুলে বুধবার কোচবিহার থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন কোচবিহার জেলার বিজেপির সংঘ্যালঘু মোর্চার সভাপতি সিদ্দিক আলি মিয়া।
তার দাবি, মমতার কারণেই সংখ্যালঘু চার যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণে তৃণমূল নেত্রীর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজের দাবি জানানো হয়েছে। অবিলম্বে মমতাকে গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেত্রী।
বিডি প্রতিদিন/এমআই