কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডি’লিট (ডক্টর অব লিটারেচার) দেওয়া হলো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। সমাজসেবা ও উচ্চশিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এই সাম্মানিক দেওয়া হলো।
আজ সোমবার নিউটাউন ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মমতার হাতে সাম্মানিক ডিলিট তুলে দেন রাজ্যটির রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রেফারেন্ড ফাদার রাফায়েল যে হাইড, ভাইস চ্যান্সেলর রেফারেন্ড ফাদার ড. জন ফেলিক্স রাজ, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রমুখ।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বুকে স্বাক্ষর করেন মমতা ব্যানার্জি। এই সম্মান প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এই সম্মান জনগণকেই উৎসর্গ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমি আমার এই পুরস্কার সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করলাম। কারণ, তাদের জন্যই আজ আমি এই জায়গায় এসেছি। আমি একজন সাধারণ মানুষ।’ বিশ্বের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেন্ট জেভিয়ার্স, কলকাতা কিংবা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কোনো অংশে কম নয়। বরং তাদের থেকে অনেক ভালো।’
অন্যদিকে অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বলেন, ‘এই ডিলিট উপাধি মমতা ব্যানার্জির প্রাপ্য ছিল। মুখ্যমন্ত্রী তার নিজের যোগ্যতায় এই সম্মান অর্জন করেছেন। আজ আমরা সবাই খুশি।’
রাজ্যপালের অভিমত, ‘যে সকল রাজনীতিবিদ রাজনীতির পাশাপাশি সাহিত্যকর্মেও বিশেষ অবদান রেখেছেন, তাদের মধ্যে মমতা ব্যানার্জিও অন্যতম।’ এ প্রসঙ্গে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ও এপিজে আবদুল কালাম কিংবা উইনস্টন চার্চিলের মতো রাজনীতিবিদদের নামও তুলে ধরেন রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মমতা ব্যানার্জিকে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে। তখন মমতার হাতে ডি’লিট সম্মানপত্র তুলে দেন রাজ্যটির তৎকালীন রাজ্যপাল প্রয়াত কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। কিন্তু এই প্রথম রাজ্যের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মমতাকে ডি’লিট দিলো। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দুইবার ডি’লিট উপাধি পেয়ে নজির তৈরি করলেন মমতা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ