ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ফের কলকাতার আদালতে পিকে হালদার, পরবর্তী হাজিরা ১৬ মে
দীপক দেবনাথ, কলকাতা
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ মোট ছয় অভিযুক্তকে আগামী ১৬ মে ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার নগর দায়রা আদালত। সেই সাথে মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অভিযুক্তদের হাতে যে নথি তুলে দিয়েছে তা যাচাই করে আগামী ১৭ এপ্রিল আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়ে তা প্রাপ্তি স্বীকারের কথা বলা হয়েছে। 

৪১ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত (জুডিসিয়াল কাসটডি) শেষে আজ মঙ্গলবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে এই নির্দেশ দেন স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ এর বিচারক শুভেন্দু সাহা। 

এদিন স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০ টায় স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে বিচারক মামলার পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন। যদিও অভিযুক্তদের আদালতে আনা হয় সকাল ১১ টার পর। 

এদিকে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও হল্টট্রিপ (haltrip) কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর পৃথ্বীশ কুমার হালদারকে পলাতক ঘোষণা করেছেন আদালত। সম্পর্কে পৃথ্বীশ এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত পিকে হালদারের ভাই। 

এ ব্যাপারে এদিন ইডি'র আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন ‘এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও হল্টট্রিপ কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর পৃথ্বীশ কুমার হালদার পলাতক। প্রথম দিন থেকেই তাকে খোঁজা হচ্ছে। পৃথ্বীশ হালদারকে না পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সেক্ষেত্রে পৃথ্বীশের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে বলেও জানা গেছে। নতুন করে কোন অভিযুক্তের জামিনের আবেদন করা হয়নি বলেও এদিন জানান ইডির আইনজীবী।  

উল্লেখ্য, কলকাতার অনতিদূরে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২০২২ সালের ১৪ মে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি। সেই সাথেই গ্রেফতার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের।

গত বছরের ১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। 'অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২' (PMLA) এবং দুর্নীতি দমন আইন-১৯৮৮ মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়।

বর্তমানে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছে প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর