ঢাকা, সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশকেই খুঁজতেন মমতা ব্যানার্জি, কিন্তু কেন?
দীপক দেবনাথ, কলকাতা

সেই ১৯৯৭-৯৮ সালের কথা। সে সময় জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু বিদেশের মাটিতে পা রেখেই সবার প্রথমে তার মনে এসেছে বাংলাদেশের কথা। বাংলাদেশের মানুষের খোঁজ করেছিলেন মমতা। কারণ একটাই-মন খুলে মনের কথা ব্যক্ত করা। কারণ তারই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা। 

বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি অনুষ্ঠান থেকে কয়েক দশক আগের সেই পুরনো ঘটনার স্মৃতিচারণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান। 

মমতা বলেন, 'আমাদের বাংলা চর্চার সু-ভাষাটা যেন হারিয়ে না যায়। কোন ব্যক্তি সব ভাষাতে কথা বলতে পারলেও তার মাতৃভাষায় কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। তেমনি আমিও বিদেশে গেলেই প্রথমে খুঁজে বাংলাদেশের কারা আছে। কেন দেখি? কারণ আমি যখন জাতিসংঘের অধিবেশনে আমেরিকায় গিয়েছিলাম...সেটা ১৯৯৭- ৯৮ সালের কথা। তখন যুক্তরাষ্ট্রে বেশি হোটেল ছিল না। তখন দেখেছিলাম নিজেদেরকেই নিজদের রান্না করে খেতে হতো। তো কখন আমি মিটিং করব, আর কখন রান্না করে খাব। তখন খুঁজতে খুঁজতে বের করলাম বাংলাদেশের কয়েকজনকে। বাংলাদেশিরা এমনিতেই অতিথি পরায়ণ হয়। তারা আমাকে বললেন ও দিদি কি খাইতাছেন? আমি বললাম কি খামু, কিছুই তো নাই! তখন ওরা বলল আমরা আপনাকে খাবার পাঠামু। এই বলে একটা ক্যানে করে এত খাওয়ার পাঠালেন যে একদিনের খাবারে টানা সাত দিন হয়ে গেল।' 

ওই সময়েরই আরেকটি ঘটনার কথা আর স্মরণ করে মমতা বলেন, 'এমনিতে আমি একটু গেঁয়ো, ঘরোয়া টাইপের লোক। আমেরিকায় গিয়ে গোসলের সময় বালতি বা মগ কোনটাই পাইনি। শেষ পর্যন্ত কিচেন থেকে একটা সসপ্যান নিয়ে এসে আমি গোসল করেছি। কিন্তু কাউকে বুঝতে দেইনি যে আমি জানি না। আমি বিদেশের ফ্লাইটে প্রথম চড়েছিলাম শুধু খেয়াল রাখতাম পাশের লোকটি কি করছে। এভাবে শিখতে শিখতে আমি আজ এই জায়গাটায় এসেছি।" 

এদিন দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে ধনধান্য অডিটোরিয়াম এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেই সেই সব পুরনো ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন মমতা। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন তিনি। 

কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা অর্থ না পাওয়া প্রসঙ্গে মমতা বলেন, 'আমাদের অনেক অর্থ আটকে রাখা হয়েছে এবং শুনেছি ২০২৪ সাল পর্যন্ত সেই অর্থ নাকি দেবে না। কিন্তু না দিক। দরকার হলে ভিক্ষা করব। শাড়ির আঁচল নিয়ে মায়ের কাছে যাব। কিন্তু দিল্লির কাছে ভিক্ষা চাইতে যাব না। আপনাদের সকলের সহযোগিতা, আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছায় যেমন করেই হোক চালিয়ে নেব।' 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন  



এই পাতার আরো খবর