ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চৌদ্দ মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করল ভারত
দীপক দেবনাথ, কলকাতা
প্রতীকী ছবি

সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়ায় ১৪টি মোবাইল মেসেজিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে পাকিস্তানের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা তথ্য আদান-প্রদান করত বলে দাবি করেছে ভারত।

নিষিদ্ধ হওয়া এই অ্যাপগুলো হল ক্রিপভাইজার, এনিগমা, সেফসুইস, মিডিয়াফায়ার, ব্রায়ার, বিচ্যাট, ন্যান্ডবক্স, কোনিয়ন, আইএমও, এলিমেন্ট, সেকেন্ড লাইন, জাঙ্গি এবং থ্রিমা।

এই অ্যাপগুলোকে নিষিদ্ধ করার ফলে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের উপর বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। যদিও সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৫টি মোবাইল অ্যাপ চিহ্নিতকরণ করা হয়েছিল, এর মধ্যে ১৪টির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইন-২০০০’ এর ৬৯এ ধারায় এই মোবাইল অ্যাপগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতের দায়িত্বপূর্ণ এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সোমবার এ খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।

গোয়েন্দাদের দাবি, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকায় তাদের অন গ্রাউন্ড কর্মীদের (OGW) সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য এই সমস্ত মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করত। এমনকি পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি নেতাদের কাছ থেকেও এই সমস্ত অ্যাপের মাধ্যমে নির্দেশ আসত বলে জানা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত অ্যাপ ব্যবহার করেই উপত্যকায় জিহাদি কাজকর্ম ছড়ানোর কাজ চলত।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন “এই সমস্ত অ্যাপগুলোর ভারতে তাদের কোনও প্রতিনিধি নেই। ফলে ভারতীয় আইন অনুযায়ী প্রয়োজনে তথ্য সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ার কারণে কোনও তথ্যও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।”

তবে মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়, এর আগেও দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও জনশৃংখলার পক্ষে ক্ষতিকর উল্লেখ করে অসংখ্য চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল ভারত সরকার।

২০২০ সালের জুন থেকে গত কয়েক বছরে প্রায় ২৫০ চীনা অ্যাপ বাতিল করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম টিকটক, পাবজি মোবাইল, ইউসি ব্রাউজার, উই চ্যাট, শেয়ার ইট প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর