ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

৫২টি স্বর্ণের বারসহ বিএসএফ'র হাতে আটক দুই বাংলাদেশি
দীপক দেবনাথ, কলকাতা

এবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসে করে স্বর্ণের বার পাচারের চেষ্টা। আর তা করতে গিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর হাতে আটক হয়েছেন দুই বাংলাদেশি নাগরিক। 

সোমবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ওই বাদে করে তারা ভারতে প্রবেশ করছিলেন। এসময় ওই বাসটিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।  

বিএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এদিন বিএসএফ'এর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা পেট্রাপোল সুসংহত চেকপোস্ট (আইসিপি)-এ কর্তব্যরত ছিলেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ৫২টি সোনার বিস্কুটসহ বাস চালক এবং তার সহকারীকে ধরা হয়েছে। জব্দ করা স্বর্ণেরবারের ওজন ৬,৯৫০ গ্রাম এবং যার আনুমানিক মূল্য ৪,২৩,৬৪,৮৮২ রূপি। 

বিএসএফ আরও জানিয়েছে, কর্তব্যরত জওয়ানদের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য আসে যে রয়্যাল মৈত্রী ইন্টারন্যাশনাল প্যাসেঞ্জার বাস (রেজি নং টিআর ০১ জি ১১৭১) দ্বারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচার হতে চলেছে। ওই যাত্রীবাহী বাসটি আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতায় আসছিল। এই খবর পাওয়ার পর, সোমবার সকাল স্থানীয় সময় ৬টা৪০ মিনিটে বাসটি আইসিপি পেট্রাপোলে পৌঁছালে জওয়ানরা তল্লাশির জন্য বাসটিকে থামায় এবং বিএসএফের নিরাপত্তা চেকিং পয়েন্টে নিয়ে আসা হয় বাসটিকে।

এর পরে বিএসএফের অনুসন্ধান দল বাসটিতে তল্লাশি চালায় এবং এর পেট্রোল ট্যাঙ্কের কাছে ফাঁপা পাইপে ৫২টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। জওয়ানরা সঙ্গে সঙ্গেই বাসের চালক ও তার সহকারীকে আটক করে। আটক দুই পাচারকারী হলেন- চালক মোস্তফা ও হেলপার মতুর রহমান আকন্দা। দুই পাচারকারীই বাংলাদেশের বাসিন্দা।

জব্দ করা স্বর্ণের বার ও আটক পাচারকারীদের কলকাতার ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিএসএফ মহাপরিচালক সুজয় লাল থাউসেন আইসিপি পেট্রাপোল সফরের সময় জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করে, বাহিনীর সদস্যদের জন্য নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। 

এ ব্যাপারে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, সীমান্তে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে বাহিনী সর্বদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বর্ণ চোরাচালান ঠেকাতে এই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রদানের জন্য সীমান্তে বসবাসকারী মানুষদের বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যায়। 

সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান এবং ওই ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও নিশ্চয়তা দেওয়া আছে বিএসএফের পক্ষ থেকে। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর