ঢাকা, সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার
পায়ে ও কোমরে চোট পেয়ে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মমতা
দীপক দেবনাথ, কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় নির্বাচনী জনসভা সেরে বাগডোগরা হয়ে কলকাতায় ফেরার পথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়লো রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হেলিকপ্টার। 

মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ি জেলার চেকেন্দা ভান্ডারী ময়দানে জনসভা ছিল মমতার। সেই সভা শেষে হেলিকপ্টার করেই তার বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিলো। সেই মতো ক্রান্তি থেকে হেলিকপ্টারে করে বাগডোগরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার মাঝ আকাশে উঠতেই প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টির কবলে পড়ে হেলিকপ্টার। এরপরই সেবক এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারটিকে। সেখানে সেনাবাহিনীর কার্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়েই পায়ে ও কোমরে সামান্য চোট লাগে মুখ্যমন্ত্রীর। এয়ারবেসেই প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তিনি। 

এরপরই ঝড়, বৃষ্টি কমতেই সেবক এয়ারবেস ক্যাম্প থেকে সড়কপথে বাগডোগরা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বিকালের বিমানে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কলকাতা বিমানবন্দর আগে থেকেই মোতায়েন রাখা ছিল অ্যাম্বুলেন্স। বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ তার চার্টার্ড বিমান এসে পৌঁছায় কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এরপর নিজের গাড়িতে করেই চলে আসেন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।  

বিকেল ৫টা ১০ মিনিট নাগাদ তিনি হাসপাতাল হাসপাতাল আসেন। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি এসে পৌঁছানোর পরে হুইল চেয়ার এগিয়ে দেওয়া হয়। যদিও গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই উডবার্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন। তবে হাঁটলেও বাম পায়ে বেশ কিছুটা অস্বস্তি বোধ করেন তিনি। এবং বেশ কয়েকবার তার বাঁ পা উঠিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সকে দেখান তিনি। 

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর পেয়ে আগে থেকেই হাসপাতালে চলে আসেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জি, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব আর গোপালিকা, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল প্রমুখ।  মমতার দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন রাজ্যপাল এবং তার সুস্থতা কামনা করেন।  

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর