ঢাকা, সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশে পাচারের আগেই ৯৯ গুলি উদ্ধার, গ্রেফতার ৩
কলকাতা প্রতিনিধি

উদ্দেশ্য ছিল অবৈধ পথে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া। কিন্তু তার আগেই অভিযান চালিয়ে ৯৯টি গুলি (কেএফ ৭.৬৫ মিমি) উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। 

গত ১৫ জুলাই, শনিবার গোলা-বারুদ পাচার করার অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর জয়ন্তীপুর সীমান্ত থেকে দুজন চোরাকারবারিকে আটক করে বিএসএফ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪১ টি কার্তুজ। পরে অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন মন্ডল এবং মোহাম্মদ নাজির হোসেন মোল্লাকে পেট্রাপোল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।  

সেই ঘটনার তদন্ত নেমে গ্রেফতারকৃত দুই অভিযুক্ত পাচারকারীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পেট্রাপোল থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় আরো কার্তুজ লুকানো আছে। এরপর তদন্তের মধ্যেই জয়ন্তীপুরে কাঁটাতারের ওপারে জিরো পয়েন্টে গিয়াসউদ্দিন মন্ডলের বাড়ি থেকে ৯৯ টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। 

সোমবার পেট্রাপোল থানার পুলিশ দুই অভিযুক্ত চোরাকারবারীকে সাথে নিয়ে ৯৯ টি গুলি উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন শাহাজাহান সরদার, কৃষ্ণভূষন কর ও তাপস খাঁ। সেক্ষেত্রে সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ১৪০ টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে বনগাঁ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অর্ক পাঁজা বলেন, 'একটা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায় এবং তাতে ৯৯ টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সেগুলোকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।' 

তিনি বলেন, প্রথমে দুই অভিযুক্তকে বিএসএফ আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে ৪১টা কার্তুজ উদ্ধার করে পেট্রাপোল থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নতুন করে আমরা তদন্ত শুরু করি। আমরা যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি তার মধ্যে একজন প্রধান অভিযুক্ত আছে। এদের হয়তো এই গোলাবারুদগুলি বাংলাদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল। এদের কাছে ১৫০ টি গুলি পাঠানোর কন্সাইনমেন্ট ছিল। প্রথমে বিএসএফ ৪১ টা গুলি উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তদন্তে নেবে অতিরিক্ত ৯৯ টা কার্তুজ উদ্ধার করে। বাকি কার্তুজ কোথায় লুকিয়ে রাখা আছে, এই কার্তুজ গুলো কোথা থেকে আনা হয়েছিল বা এই চক্রের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সে সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর